ঢাকার অদূরে সাভারের বোট ক্লাবে নিয়ম উপেক্ষা করে তিন লিটার মদ পার্সেল নিতে চেয়েছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। সেটা না পেয়ে তিনি ক্লাবের পরিচালক নাসির উদ্দিন মাহমুদের মাথায় ও বুকে আঘাত করেন। তিনি ক্লাবের পানশালার ভেতরেও ভাঙচুর চালান।
পরীমনির বিরুদ্ধে নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদনে এসব কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পিবিআইয়ের ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন সম্প্রতি ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতে এই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী ওরফে জিমিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে পরীমনির সঙ্গী ফাতেমা তুজ জান্নাত ওরফে বনির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরীমনির বিরুদ্ধে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে ২০২২ সালের ১৮ জুলাই ঢাকার আদালতে নালিশি মামলা করেন নাসির উদ্দিন মাহমুদ।
তদন্ত প্রতিবেদনে পিবিআই বলছে, পরীমনি ২০২১ সালের ৮ জুন রাতে বোট ক্লাবে বাদী নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করেন। ক্লাবের নিয়ম উপেক্ষা করে তিনি বিনা পয়সায় তিন লিটার মদ পার্সেল নিতে চেয়েছিলেন। সেটা না পেয়ে বাদীর প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি দেন। পরীমনি ইচ্ছা করেই নাসির উদ্দিনকে লক্ষ্য করে অ্যাসট্রে (ছাইদানি) ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিনের ডান কানের ওপরে মাথায় আঘাত লাগে। এতে মাথায় জখমের সৃষ্টি হয়। পরীমনির ছোড়া ভাঙা কাচের টুকরা নাসির উদ্দিনের বুকে লেগে বুকে জখম হয়। পরীমনি ক্লাবের পানশালার ভেতরে কাচের গ্লাস, বোতল ও ছাইদানি ছুড়ে ভাঙচুর চালান।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, নাসির উদ্দিন এই পরিস্থিতিতে পরীমনির সঙ্গে আসা তুহিন সিদ্দিককে পরীমনি ও তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে চলে যেতে বলেন। এতে পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী গালাগাল করেন ও হুমকি দেন নাসির উদ্দিনকে। একপর্যায়ে জুনায়েদ কিল-ঘুষি মারেন নাসির উদ্দিনকে।
যোগাযোগ করা হলে পিবিআইয়ের প্রধান ও পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার আজ বৃহস্পতিবার বলেন, তদন্তে যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে, তার ভিত্তিতেই আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।