পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীর নাম মিথিলা আক্তার। তার বাবার নাম মেহেদুল ইসলাম। গাবতলী উপজেলার পাঁচপাইকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছিল সে। গাবতলী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। তার রোল ১০১১। কিন্তু পরীক্ষায় অজ্ঞাত কারণে অনুপস্থিত ছিল জানা গেছে।
পাঁচপাইকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, এই বিদ্যালয় থেকে দুজন ছেলে এবং ছয়জন মেয়ে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে নিবন্ধন করেছিল। কিন্তু ১০১১ রোল নম্বরের মিথিলা আকতার পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল। বাকি ৭ জন ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। মঙ্গলবার প্রকাশিত বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফলে রোল নম্বর ১০১১ ছিল সাধারণ গ্রেডে বৃত্তির তালিকায়।
প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও বৃত্তির তালিকায় একজন শিক্ষার্থীর নাম দেখে হতবাক বনে যাই। পরে মুঠোফোনে বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়।’
গাবতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাহিদা আকতার বলেন, বিষয়টি মৌখিকভাবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়। তিনি লিখিতভাবে চিঠি দেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু এর মধ্যেই বৃত্তির ফলাফল স্থগিত করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। পুনরায় যাচাই শেষে বুধবার সংশোধিত ফল প্রকাশ করার কথা রয়েছে।