টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে পরিবেশ-প্রতিবেশ ও শিল্পায়নের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা একান্ত জরুরি। তবে পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নে সরকারি প্রণোদনা দরকার। শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আরণ্যক ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘ন্যাচারাল রিসোর্সেস কনজারভেশন: স্কোপ অব প্রাইভেট সেক্টর এনগেজমেন্ট’ শীর্ষক কর্মশালায় ব্যবসায়ী নেতারা এমন মত দেন।
আরণ্যক ফাউন্ডেশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সংস্থাটির বাস্তবায়নে ইউএসআইডির গ্রিন লাইফ প্রকল্পের আওতায় এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালার প্রধান অতিথি ইউএসআইডি বাংলাদেশের ইকোনমিক গ্রোথ অফিসের পরিচালক ড. মুহাম্মদ খান বলেন, বন সংরক্ষণ করতে পারলে পরিবেশ ও প্রতিবেশের অনেক সংকটের সমাধান মিলবে। এ লক্ষ্যে ব্যক্তি খাতের সক্রিয় উদ্যোগ আশা করেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিকেমএইএর সাবেক সভাপতি মো. ফজলুল হক বলেন, পরিবেশবান্ধব কারখানা স্থাপন করে তিনি সামাজিক স্বীকৃতি পেয়েছেন। কিন্তু ব্যবসার মুনাফার ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি। তাই প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে উদ্যোক্তাদের আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা দিতে হবে। পরিবেশবান্ধব কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের বাড়তি দাম দেওয়ার ব্যাপারে ক্রেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিজিএমইএর সহসভাপতি মো. শহীদুল্লাহ আজীম বলেন, বর্তমানে পরিবেশবান্ধব তৈরি পোশাকের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে বাংলাদেশ সবচেয়ে পছন্দের বাজার। বর্তমানে দেশে ১৯৫টি লিড সনদধারী পোশাক কারখানা রয়েছে।
গেস্ট অব অনারের বক্তব্যে বিএসআরএমের হেড অব ব্র্যান্ডিং ফারাহ শাহরুখ রাজা জানান, তাঁর প্রতিষ্ঠান পরিবেশের কথা চিন্তা করে পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ার নকশা করেছে। এর অংশ হিসেবে বর্জ্যকে পণ্যে পরিণত করা হচ্ছে।