যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, একে অপরের সম্পর্কে ভুল ধারণা দূর ও ভুল মূল্যায়ন এড়ানোর মাধ্যমে আরও ভালো যোগাযোগের দ্বার উন্মোচন করাই তাঁর আসন্ন চীন সফরের উদ্দেশ্য। গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেছেন।
ব্লিঙ্কেন বলেন, তীব্র প্রতিযোগিতার জন্য প্রয়োজন টেকসই কূটনীতির, যাতে এই প্রতিযোগিতা সংঘর্ষ বা সংঘাতের দিকে না গড়ায়। আর এটাই যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কাছ থেকে বিশ্ব আশা করে।
প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রথম শীর্ষ কোনো মার্কিন কূটনীতিক বেইজিং সফরে যাচ্ছেন। সফরকালে আজ রোববার ও আগামীকাল সোমবার দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করবেন ব্লিঙ্কেন।
ফেব্রুয়ারিতে বেইজিং সফরে যাওয়ার কথা ছিল ব্লিঙ্কেনের। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় চীনের ‘গোয়েন্দা’ বেলুন শনাক্ত ও ভূপাতিতের ঘটনায় সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যে ওই সফর স্থগিত করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চীন সফরের প্রথম উদ্দেশ্য হলো উন্মুক্ত ও শক্তিশালী যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা, যাতে আমাদের দুই দেশ দায়িত্বশীলতার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে।’
ব্লিঙ্কেন বলেন, মার্কিন স্বার্থ ও মূল্যবোধের বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরা এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, মাদক পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই এবং জলবায়ু ও স্বাস্থ্যসহ সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো খুঁজে বের করাও এই সফরে উদ্দেশ্য।
চীনে আটক মার্কিন নাগরিকদের বিষয়টিও সফরকালে উত্থাপন করবেন বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিভিন্ন অভিযোগে কয়েকজন মার্কিন নাগরিককে আটক করেছে চীন। তাঁদের মধ্যে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ২০১৬ সালে ব্যবসায়ী কাই লি এবং ২০০৬ সালে মার্কিন পাদরি ডেভিড লিনকে আটক করা হয়।
সিঙ্গাপুরের সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণনের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ব্লিঙ্কেন। বালাকৃষ্ণন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের ওপর নজর রাখছে এশীয় অঞ্চল। তিনি বিষয়টিকে ‘শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ’ হিসেবেও অভিহিত করেন।
সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর মুহূর্ত, কেবল যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের জন্যই নয়। বাকি বিশ্ব বিষয়টির ওপর নজর রাখবে। তাই আমরা আশা করি এবং বিশ্বাস করি, আপনারা এই মতপার্থক্য অবসানে সক্ষম হবেন।’