পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ১৪ দূতাবাসের চিঠি

0
51
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ- সংগৃহীত ছবি

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘাতে প্রাণহানি এবং ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনায় গভীরভাবে মর্মামত ও উদ্বেগের কথা জানিয়েছে ঢাকায় থাকা পশ্চিমা ১৪ দেশের দূতাবাস ও হাইকমিশন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের কাছে লেখা এ চিঠিতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে চলমান সংকটের একটি টেকসই সমাধান খুঁজতে ও নতুন করে প্রাণহানির ঘটনা এড়াতে উৎসাহ দিয়েছে তারা।

গত বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে সই করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) দূতাবাস।

চিঠিতে তারা সংকট সমাধানের পাশাপাশি আন্দোলন মোকাবিলা ও সংঘাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগের জবাবদিহি নিশ্চিত, আটক ব্যক্তিদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় বিচার এবং যত দ্রুত সম্ভব সারাদেশে পুরোদমে ইন্টারনেট চালুর অনুরোধ জানিয়েছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ২১ জুলাই ঢাকায় বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ের বিষয়টি টেনে দূতাবাস ও হাইকমিশনগুলো বলেছে, মিশনপ্রধানদের সঙ্গে আলোচনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগের জবাবদিহি নিশ্চিতের যে ইঙ্গিত আপনি দিয়েছেন, আমরা এর প্রশংসা করছি।

আন্দোলন ঘিরে সংঘাত ও সহিংসতায় জড়িত সন্দেহে আটক ব্যক্তিদের যথাযথ বিচার ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখার ওপর জোর দিয়েছে তারা। এ বিষয়ে বলা হয়েছে, গত কয়েক দিনে আটক ব্যক্তিদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় বিচার নিশ্চিত করা জরুরি। তেমনি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সমাবেশের অধিকারসহ মানবাধিকার সমুন্নত রাখাটিও গুরুত্বপূর্ণ।

আন্দোলন ঘিরে কারফিউ জারি ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সব নাগরিকের জীবনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছে তারা। দূতাবাসগুলো মনে করছে, ইন্টারনেট সংযোগ পুরোপুরি চালু না হওয়ায় দেশে বিদেশে ব্যবসার পাশাপাশি মিশনগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.