নব্বইয়ের ঘরে গিয়েই স্নায়ুচাপে ভুগছিলেন পন্ত। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৯৩ রানে পন্তকে ফেরান মিরাজ। নুরুলের ক্যাচ হয়ে ফেরার আগে ১০৪ বলে পাঁচ ছক্কা ও সাত চারে ৯৩ রান করেন পন্ত। তার বিদায়ে ভাঙে ১৮২ বল স্থায়ী ১৫৯ রানের জুটি। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি নতুন ব্যাটসম্যান অক্ষর প্যাটেল। সাকিবের বলে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪ রান।
৭০.৩ ওভারে ভারতের রান ৬ উইকেটে ২৬৪।
এর আগে লাঞ্চের পর কোহলিকে নিয়ে দ্বিতীয় সেশন শুরু করে পন্ত। তবে তাসকিনের প্রথম ওভারেই কোহলির (২৪) বিদায়ে সাফল্য পায় বাংলাদেশ। এতে একশর আগেই ৪ উইকেট হারায় ভারত। সেখান থেকে জুটি বাঁধেন শ্রেয়াস আইয়ার ও রিশাভ পন্ত। ৪৯ বলে ফিফটি করেন পান্ত। ২১ রানে জীবন পেয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেন শ্রেয়াস। ১১৬ বলে ১০০ করে পঞ্চম উইকেটের এই জুটি। তাদের জুটিতেই দ্বিতীয় সেশনে দাপট দেখিয়ছে ভারত।
দুর্দান্ত তাইজুলে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনটা নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ দল। দুই ওপেনারের পাশাপাশি পূজারাকেও ফেরত পাঠিয়েছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। প্রথম সেশনে তিন উইকেট হারিয়ে ভারত তুলেছে ৬৭ রান।
সকালের সেশনে আরো একটি উইকেট পেতে পারতো বাংলাদেশ। লাঞ্চের আগে শেষ ওভারে পন্তের উইকেট পেতে পারতেন মিরাজ। পন্তের ব্যাটের কোনায় লেগে স্লিপে বল গেলেও সেটি কেউ তালুবন্দি করতে পারেনি। সে সময় ১১ রানে ছিলেন পন্ত। এছাড়া লাঞ্চের আগে রান আউট হতে পারতেন কোহলি। তাকে মাঝপথ ফিরিয়ে দেন পন্ত।
এর আগে দিনের শুরুতে ডাউন দ্যা উইকেটে এসে ডিফেন্ড করতে চেয়েছিল রাহুল। কিন্তু বল আঘাত হানে তার প্যাডে। বাংলাদেশ জোড়ালো আবেদন জানালেও আম্পায়ার সম্মতি দেয়নি। পরে রিভিউ নিয়ে সফল হয় বাংলাদেশ। তাইজুলের বলে রাহুল ফেরেন ১০ রানে। নিজের পরের ওভারেই ভারতীয় শিবিরে ফের তাইজুলের আঘাত। এবার ফিরলেন আরেক ওপেনার শুভমন গিল (২০)।
পরপর দুই ওভারে দুই ওপেনারকে হারিয়ে সাবধানী খেলছিল কোহলি-পুজারা। তবে এই জুটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেয়নি তাইজুল। পূজারাকে নিজের তৃতীয় শিকার বানিয়ে জুটি ভাঙেন তাইজুল। পূজারা ফেরেন ২৪ রান করে।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। মুমিনুল হক ছাড়া কোনো ব্যাটসম্যানই নজর কাড়তে পারেনি। হতাশার ব্যাটিংয়ে স্বাগতিকরা গুটিয়ে যায় ২২৭ রানে। শেষ সময়ে বাংলাদেশ ভাঙতে পারেনি ভারতের উদ্বোধনী জুটি। ১৯ রান করে প্রথম দিন শেষ করে সফরকারীরা।