শিবচর হাইওয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ছেড়ে আসা বরিশাল এক্সপ্রেস নামের বাসটি রাজধানীর ঢাকায় যাচ্ছিল। বাসটি পদ্মা সেতু এক্সপ্রেসওয়ের পাঁচ্চরসংলগ্ন মোল্লার বাজারে পৌঁছানোর পরেই বাসের একটি চাকা ফেটে যায়। এ সময় বাসের চালক ও সুপারভাইজার কয়েক যাত্রীকে নিচে নামিয়ে ওই চাকা মেরামতের চেষ্টা করেন। কিছু সময় পরই বাসের ভেতরে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই বাসের ভেতরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে যাত্রীরা তাড়াহুড়ো করে ব্যাগ রেখেই নিচে নেমে যান। পরে খবর পেয়ে শিবচর হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ওই বাসের যাত্রী অঞ্জনা সরকার বলেন, ‘বাসের সমস্যা হলে আমরা যাত্রীরা সবাই বাস থেকে নেমে রাস্তায় দাঁড়াই। এরপর হঠাৎ করেই বাসে আগুন ধরে যায়। বাসের বক্সে রাখা আমাদের মালামাল, ব্যাগ—সবকিছু পুড়ে গেছে।’
ইব্রাহিম শেখ নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘চাকা পাংচার (ফেটে) হওয়ার পরেও আমরা বাসের ভেতরে ছিলাম। ড্রাইভারের ওখানে ধুমা (ধোঁয়া) দেখে আমরা যাত্রীরা সবাই তাড়াহুড়ো করে নেমে যাই। অল্পের জন্য একটা বিপদ থেকে আমরা রক্ষা পেলাম। তবে বাসের ভেতর আগুন কীভাবে লাগল, এটা নিয়ে আমাদের সন্দেহ আছে।’
শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু নাঈম মো. মোফাজ্জেল হক বলেন, বাসের আগুন ধরার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ধারণা করা হচ্ছে, বাসের ইঞ্জিনের ত্রুটি থেকে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে এর বাইরে অন্য কোনো বিষয় আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শিবচর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা তরুণ-উর-রশীদ বলেন, বাসের ইঞ্জিনের রেডিয়েটরে পানি ছিল না। এ কারণে ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হয়ে ভেতরে আগুন ধরে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।