পটুয়াখালীতে স্কুলছাত্র জয়ন্তের মৃত্যুর কারণ উদ্‌ঘাটনের দাবিতে মানববন্ধন

0
141
পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্ধী জয়ন্ত সাহার মৃত্যুর কারণ উদঘাটনের দাবিতে মানববন্ধন।আজ বুধবার বেলা ১১টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে

পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জয়ন্ত সাহার (১৪) মৃত্যুর রহস্য উদ্‌ঘাটনের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার বেলা ১১টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে সেখানে বক্তব্য রাখেন সাবেক জুবিলীয়ার অমিয় পাল, ইসতিয়াক ফেরদৌস, মো, শফি প্রমুখ।

গত শুক্রবার দুপুরে পটুয়াখালী শহরের পুরোনো জেলাখানা এলাকার লেক থেকে জয়ন্ত সাহার লাশ উদ্ধার করা হয়। জয়ন্তের মৃত্যু অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন পরিবারের সদস্য ও তার সহপাঠীরা।

আজকের মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জয়ন্ত সাহা পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। শুক্রবার দুপুরে শহরের পুরোনো জেলাখানা এলাকার লেক থেকে জয়ন্তের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার নাক ও গলায় অস্বাভাবিক চিহ্ন দেখে অনেকের সন্দেহ জয়ন্তর মৃত্যু রহস্যজনক। কাজেই সুষ্ঠু তদন্ত ও সঠিক নিরপেক্ষ ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের মাধ্যমে জয়ন্তের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদ্‌ঘাটনের দাবি জানান বক্তারা।

জয়ন্তর বাবা তাপস সাহা এ ঘটনায় সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করে বলেন, সকাল ১০টার দিকে খেলার জন্য তাঁর ছেলে পৌরসভা-সংলগ্ন লতিফ স্কুলমাঠের উদ্দেশে রওনা দেয়। বেলা আড়াইটার দিকে লোকমুখে তিনি খবর পান, বন্ধুদের সঙ্গে লেকে গোসল করতে গিয়ে জয়ন্ত পানিতে ডুবে গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে জয়ন্তকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অভিযোগে তাপস সাহা বলেন, তাঁর ছেলে জয়ন্ত সাঁতার জানে। কাজেই সে পানিতে ডুবে মরতে পারে না। এর আগে গত ২৭ মে প্রাইভেট পড়ে বাসায় আসার পথে তার ছেলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার জের ধরে আবার জয়ন্তর ওপর হামলা ও হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি শঙ্কা করেছেন।

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.