পটুয়াখালীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় দলের অন্তত ৫০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এ ছাড়া সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি মটরসাইকেল ভাঙচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ ও তিন রাউন্ড টিয়ারসেল ছুঁড়তে বাধ্য হয়। এ ঘটনার পর থেকে শহরজুড়ে এখনও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
পটুয়াখালী শহরের বনানী এলাকায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলে।
বিএনপির দাবি, সংঘর্ষে তাদের ২৫০-৩০০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এ ছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টুকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় বলেও অভিযোগ করেছে দলটি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের দাবি, এ সংঘর্ষে তাদের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
এদিকে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। এটি সরকারি দলের পরিকল্পিত হামলা বলেও দাবি করেন তিনি।
আব্দুল আউয়াল মিন্টু সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত এবং নির্দলীয়-নিরপেক্ষ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক বলেন, এমন একটা সরকার প্রতিষ্ঠিত করা উচিত, যে সরকার বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার এবং ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর বলেন, তিতাস মোড়ে আমাদের শান্তি সমাবেশ ছিল। ওই সমাবেশে যোগ দিতে ছাত্রলীগের একটি মিছিল আসার সময় বিএনপি তাদের ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে আমরা সেখানে গেলে আমাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। এতে আমাদের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়।
পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম জানান, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।