পঞ্চগড়ে দ্বিতীয় দিনের মত টানা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। আজ শনিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। শুক্রবারও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী সপ্তাহজুড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।
কয়েকদিন ধরে প্রায় প্রতিদিন বিকেল থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে এলাকা। উত্তরের হিমশীতল বাতাসে কনকনে শীত অনুভূত হয়। তবে দুপুরের আগে থেকে সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়লে শীতের প্রকোপ কিছুটা কমে যায়। আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলেও শনিবার সকাল ৯টার পর থেকে জেলার সর্বত্র ঝলমলে রোদ দেখা গেছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানায়, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেই এলাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রির নিচে এবং ৬ ডিগ্রির উপরে থাকলে বলা হয় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। চলমান শৈত্যপ্রবাহে প্রতিদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে হয়। কনকনে শীতের সঙ্গে দুর্ভোগ বেড়েছে রিকশা ও ভ্যান চালক আর খেটে খাওয়া মানুষজনের। বিশেষ করে কৃষি ও পাথর শ্রমিকদের কষ্ট বেড়েছে। তাদের সকাল সকাল কাজে যেতে হয়।
কনকনে শীতের কারণে জনজীবনে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। আয় কমে গেছে রিকশা ও ভ্যান চালক আর দিনমজুরদের।
পৌরসভা এলাকার উত্তর মিঠাপুকুর মহল্লার অটোরিকশা চালক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমি প্রতিদিন নিয়মিত গড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় করি। কিন্তু শীতের কারণে যাত্রীরা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া গাড়িতে ওঠে না। এখন সেই আয় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় নেমেছে।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, ‘শনিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। শুক্রবারও সর্বনিম্ন একই ছিল। চলমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহ মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে রুপ নিতে পারে।’