পঞ্চগড়ে চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার সকালে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ৬ থেকে ৮ এর মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের আভাস বলছে আবহাওয়া অফিস। এর আগে মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর গতকাল দিনের তাপমাত্রা (সর্বোচ্চ তাপমাত্রা) রেকর্ড করা হয় ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। রাতভর বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরে বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে উত্তরের হিমশীতল বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, বুধবার ভোর থেকেও ঘন কুয়াশায় ঢেকে ছিল গোটা এলাকা। সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। কিন্তু সকাল ৯টায় ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। ভোর থেকেই ঘন কুয়াশা আর বাতাসের কারণে স্থবিরতা দেখা দেয় জনজীবনে।
এদিকে তীব্র শীতের কারণে খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। কষ্টে রয়েছেন রিকশাচালক ও কৃষি শ্রমিকরা। কনকনে শীতের কারণে দৈনন্দিন আয় কমে গেছে এসব শ্রমজীবী মানুষের।
জেলা শহরের পুরানাক্যাম্প এলাকার অটোরিকশাচালক রবিউল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর শীতে আমরা বেশি দুর্ভোগে পড়ি। এবারও একই অবস্থা। মানুষ ঠান্ডার কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রিকশায় উঠতে চায় না। আমাদের আয় অর্ধেকে নেমে এসেছে। পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে দিনযাপন করছি।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, বুধবার সকাল ৯টায় চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এই তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ৬ থেকে ৮ এর মধ্যে থাকলে এবং তা কমপক্ষে ৭২ ঘণ্টা স্থায়ী হলে তাকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। তবে সকাল ৮টার দিকে সূর্যের দেখা মিলেছে।
এই পরিস্থিতি আরও দুই-তিনদিন থাকতে পারে বলে জানান তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।