আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেছেন। এর মধ্যে কেউ কেউ স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাসায় উঠলেও অনেকে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় নিচে রাতযাপন করছেন।
কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে এসেছেন কৃষক মনজুর আলম। তিনি বলেন, ‘দেশ ঠিকমতো চলছে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সার, বীজ, কীটনাশকের দামও বেড়েছে। এখন কৃষক সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন। এ অবস্থার পরিবর্তন চাই। গতকাল সোমবার ঢাকায় এসেছি। থাকার কোন জায়গা নাই, দলের অফিসেই থাকছি। এখানেই খাওয়া দাওয়া করছি।’
টাঙ্গাইল সদর থানা বিএনপির সদস্য সৈয়দ খালেক মোস্তফাও গতকাল সোমবার ঢাকায় এসেছেন। কার্যালয়ের নিচে পাটি বিছিয়ে থাকছেন অন্যদের সঙ্গে।
ভোলা সদর থেকে আব্দুল জলিল নামের একজন এসেছেন। জলিল বলছিলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে বিএনপির সমাবেশে এসেছি। এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অত্যাচারে আমি অতীষ্ঠ। তাদের অত্যাচারে ২০ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। এসবের প্রতিবাদ জানাতেই বিএনপির সমাবেশে এসেছি।’
সৈয়দ খালেক মোস্তফা, মনজুর আলম ও আব্দুল জলিলের মত আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে মঙ্গলবার রাতে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে ঘুমাতে দেখা গেছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম মাওলা শাহীন এসব লোকদের দেখভাল করছেন। তাদেরসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেওয়া কর্মীদের খাবারের ব্যবস্থা করছেন। কার্যালয়ের নিচেই চলছে রান্নার আয়োজন।