নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় গাছ থেকে ফল পাড়াকে কেন্দ্র করে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন উপজেলার চাষিরহাট ইউনিয়নের ভূঁইয়া বাড়ির মাকসুদুর রহমান (৩৮) ও তাঁর স্ত্রী সুমি আক্তার (২৬)। গতকাল শনিবার রাতে মাকসুদকে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা থেকে এবং সুমিকে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ রোববার দুপুরে তাঁদের নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত এনামুল হকের সঙ্গে একই বাড়ির সোলাইমান ভূঁইয়ার জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ আছে। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে বাড়ির উঠানসংলগ্ন একটি ডেউয়াগাছ থেকে ফল পাড়াকে কেন্দ্র করে সোলাইমান ভূঁইয়ার সঙ্গে এনামুল হকের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সোলাইমান ও তাঁর ছেলে মাকসুদসহ চারজন এনামুলের ওপর হামলা করেন। এ সময় তাঁদের লাঠির আঘাতে ঘটনাস্থলেই বৃদ্ধ এনামুলের মৃত্যু হয়। মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে এ ঘটনায় এনামুল হকের ছেলে আবদুল গণি বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে সোনাইমুড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার সাত দিন পর দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বলেন, বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার দুই আসামি প্রাথমিকভাবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।