নোবেল অনেক ভালো মানুষ ছিল, একটা চক্রের ফাঁদে পড়ে সে নেশা শুরু করে এরপরই তার জীবন উল্টাপাল্টা হয়ে যায় বলে দাবি করছেন গায়কের প্রাক্তন স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ।
টাকা অগ্রিম নিয়ে প্রতারণার শোতে হাজির না হওয়াসহ একাধিক প্রতারণার অভিযোগে শনিবার তরুণ গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেলকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে তাকে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর কারাগারে পাঠানো হয়।
ডিএমপি ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ গায়কের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, একাধিক অভিযোগের বিষয়ে নোবেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হচ্ছে।
ডিবি কার্যালয়ে হাজির ছিলেন সাবেক স্ত্রী সালসাবিলও। ডিবি কার্যালয়ে থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, নোবেলের সঙ্গে যখন আমি সংসার শুরু করি তখন সে খুবই ভালো একজন মানুষ ছিলেন। হুট করে সে একটা চক্রের মধ্যে পড়ে নেশা শুরু করে। তখনই তার আচার-ব্যবহার পরিবর্তন আসে। অন্য এক নোবেলে সে পরিবর্তন হয়। যে এ যাবত যত সমালোচিত কাজ নোবেল করেছে তার সবই নেশাগ্রস্ত হওয়ার পর।
- স্টেজে মাতলামি, নোবেলকে জুতা ও বোতল ছুড়ে মারল দর্শকরা
- মাদক না ছাড়ায় গায়ক নোবেলকে তালাক দিলেন সালসাবিল
নেশাগ্রস্ত হওয়ার পর নোবেল তার প্রাক্তন স্ত্রীকে প্রতিরাতেই মারধর করতেন বলে জানান তিনি। ফলে গুলশান থানায় জিডিও করেন সালসাবিল। বিষয়টি উল্লেখ করে গায়কের স্ত্রী বলেন, নোবেলের নেশা গ্রহণের মাত্রা এতোটা বেড়ে যায় যে একটা সময় সে আমাকে প্রতি রাতেই মারধর করত। একদিন আমি ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ এসেও আমাকে মারতে দেখেন। তারা নোবেল তখন জানতে চান আপনি মারছিলেন কেনো? নোবেল তাদের উত্তর দেয় আমার মাথা ঠিক থাকে না তাই আমি তাকে মারি।
নোবেলকে নেশার জগত থেকে ফিরিয়ে আনার অনেক চেষ্টা করেছেন বলে জানান সালসাবিল। নোবেলের বাবা-মার সঙ্গে মিলে নেওয়া সব ধরণের চেষ্টাই বিফলে গিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘নোবেলের পরিবার ও আমার পরিবার মিলে বহুবার চেষ্টা করেছি নোবেলকে ঠিক পথে আনতে কিন্তু পারিনি। সে মাদকের শক্ত একটা সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে গেছে। সে ইচ্ছে করলেও যারা তাকে মাদক সরবরাহকরে তারা তাকে ছাড়তে দেবে না।’