অহিংস উপায়ে ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারত্ব প্রতিরোধে ভূমিকা রাখায় ‘রাইট লাইভলিহুড’ পুরস্কার পেয়েছেন ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মী ইসা আমরো। গতকাল বৃহস্পতিবার এই পুরস্কার গ্রহণ করেন এই ফিলিস্তিনি। এই পুরস্কারকে নোবেল পুরস্কারের বিকল্প হিসেবে দেখা হয়।
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের গুরুত্বপূর্ণ শহর হেবরনে জন্ম ইসার। এই শহরে ইসরায়েলের ব্যাপক সামরিক সুরক্ষার মধ্যে প্রায় এক হাজার ইহুদি বসতি স্থাপনকারী থাকেন। শহরটিতে দুই লাখের মতো ফিলিস্তিনির বসবাস।
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখলদারত্বের বিরুদ্ধে নিজেকে সঁপে দিয়েছেন ইসা। ৪৪ বছর বয়সী এই অধিকারকর্মী ‘বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে তারুণ্য’ নামের একটি সংগঠন তৈরি করেন। সংগঠনটি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ক্রমবর্ধমান ইহুদি বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে আসছে। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে এ ধরনের বসতি স্থাপন করা আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ।
রাইট লাইভলিহুড ফাউন্ডেশন বলছে, এই অধিকারকর্মী ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল উভয় সরকারের হাতেই বারবার কারাবন্দী হন এবং নির্যাতনের শিকার হন।
পুরস্কার পাওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে এক বিবৃতিতে ইসা বলেন, ‘আমি যে এখনো টিকে আছি, এটা একটি অলৌকিক বিষয়।’
২০০৩ সালে দ্বিতীয় ইন্তিফাদার (গণবিদ্রোহ) সময় প্যালেস্টাইন পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ছয় মাস অসহযোগ আন্দোলনের সফল নেতৃত্ব দেন ইসা।
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি এই অধিকারকর্মী বলেন, ‘অন্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি আবার চালু করতে আমি সমর্থ হই।’ তিনি বলেন, ‘একজন প্রকৌশলী হিসেবে আমি স্নাতক সম্পন্ন করি। আর অধিকারকর্মী হিসেবে আন্দোলন আমার বৈশিষ্ট্যের অংশ হয়ে গেছে।’ এএফপি, স্টকহোম