ব্রাজিল ৩ : ০ চিলি
নেইমার-ভিনিসিয়ুস-রদ্রিগোসহ ছিলেন না দলের একাধিক সেরা তারকা। সেরাদের ছাড়া কার্লো আনচেলত্তির ব্রাজিল কেমন খেলে সেদিকেই ছিল ভক্ত-সমর্থকদের চোখ। সমর্থকদের অবশ্য একেবারেই নিরাশ করেনি ব্রাজিল। চিলির বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৩-০ গোলের দাপুটে এক জয়ই পেয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ব্রাজিলের জয়ে গোল করেছেন এস্তেভাও, লুকাস পাকেতা এবং ব্রুনো গিমারেস।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ দুই ম্যাচের জন্য ঘোষিত ব্রাজিল দল নিয়ে গত কদিন চলেছে বিতর্ক। আনচেলত্তি চোটের কারণে নেইমারকে বাদ দেওয়ার কথা বললেও, ব্রাজিলিয়ান তারকার দাবি ছিল ভিন্ন। নেইমার বলেছেন, চোট নয় তাঁর বাদ পড়ার কারণ ট্যাকনিকাল।
এই বিতর্কের প্রভাব আজ চিলির বিপক্ষে ম্যাচে কতটা পড়ে সেটা নিয়েও ছিল আলোচনা। ব্রাজিলের খেলায় অবশ্য বিতর্কের কোনো ছাপই খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলা ব্রাজিল শেষ পর্যন্ত দাপুটে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে। এই জয়ে আগেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা ব্রাজিলের পয়েন্ট এখন ১৭ ম্যাচে ২৮। আর সবার নিচে থাকা চিলির পয়েন্ট ১৭ ম্যাচে ১০।
মারাকানায় আজ সকালের ম্যাচে বল দখল, আক্রমণ ও সুযোগ তৈরিসহ সব দিক থেকেই দাপট দেখিয়েছে ব্রাজিল। ৬৫ শতাংশ বলের দখল রাখা ব্রাজিল ২২টি শট নিয়ে ৮টিই রেখেছে লক্ষ্যে। অন্য দিকে ৩৫ শতাংশ বলের দখল রাখা চিলি ৩টি শট নিলেও কোনোটিই লক্ষ্যে ছিল না। এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে ম্যাচটা কতটা এক পাক্ষিক ছিল।
ম্যাচের প্রথমার্ধে অবশ্য অতিথিদের অতিরক্ষণাত্মক ফুটবলের কারণে কিছুটা ভুগেছে ব্রাজিল। কাছাকাছি গিয়েও পাচ্ছিল না গোল। তবে একের পর এক আক্রমণে শেষ পর্যন্ত ভেঙে পড়ে চিলির ডিফেন্স। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে অবিশ্বাস্য এক বাইসাইকেল গোলে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন এস্তেভাও। এটিই ব্রাজিলের জার্সিতে এস্তেভাওয়ের প্রথম গোল। এই এক গোল নিয়েই বিরতিতে যায় ব্রাজিল।
দ্বিতীয়ার্ধে কোচের পরিবর্তনগুলো বদলে দেয় ম্যাচে চিত্র। বিশেষভাবে নজর কাড়ে লুইস হেনরিখের আগমন। জেনিতের এই স্ট্রাইকার চিলির রক্ষণভাগ ভাঙতে ব্রাজিলের যে বেগ পেতে হচ্ছিল, সেই সমস্যার সমাধান করেন। ম্যাচের ৭২ মিনিটে পাকেতার গোলটিতে সহায়তাও করেছেন তিনি। বাঁ প্রান্ত দিয়ে দারুণভাবে ড্রিবল করে তাঁর করা ক্রসেই হেডে গোল করেন পাকেতা।
৭৬ মিনিটে ম্যাচের তৃতীয় ও শেষ গোলটিতেও ছিল হেনরিখের অবদান। দারুণ এক আক্রমণে, এবার ডান দিক ধরে উঠে তিনি ব্রুনো গিমারেসের সঙ্গে দারুণ সমন্বয় গড়ে তোলেন। এরপর পাউলো দিয়াজকে দারুণ এক ড্রিবলে পরাস্ত করে নেন জোরালো শট, যা ফিরে আসে ক্রসবারে লেগে। ফিরতি বল জালে ঠেলে দিয়ে গোল আদায় করেন গিমারেস। এই গোলই নিশ্চিত করেছে ব্রাজিলের ৩-০ গোলের জয়।