সবাই আমার সাহসের প্রশংসা করেছেন: নওশাবা

আজকের শিল্পী

0
102
কাজী নওশাবা আহমেদ।

কাজী নওশাবা আহমেদ। অভিনেত্রী ও মডেল। সম্প্রতি কলকাতার সিনেমা ‘যত কাণ্ড কলকাতাতেই’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। আজই শুরু হবে এর দৃশ্যধারণ। নতুন সিনেমা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তিনি

কলকাতার সিনেমা ‘যত কাণ্ড কলতাকাতেই’ এ আগ্রহী হলেন কেন?

স্ক্রিপ্ট দেখেই আমি কাজটি করতে রাজি হয়েছি। আমার মনে হয়েছে, গল্পটির মধ্যে নতুন কিছু আছে, যা আগে কখনও পর্দায়  দেখানো হয়নি। জনপ্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র ফেলুদার বৃদ্ধিদীপ্ত ঘটনা আর ধাঁধার বিভিন্ন সূত্রকে কেন্দ্র করে সিনেমার চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন নির্মাতা অনীক দত্ত।  মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করবেন আবীর চট্টোপাধ্যায়।  এ রকম গুণী মানুষের সঙ্গে কাজ করা সৌভাগ্যের।

সিনেমায় যুক্ত হলেন কীভাবে?

সামাজিক মাধ্যমেই সিনেমার কাজের প্রস্তাব পেয়েছি। আমি একজন অন্তর্মুখী শিল্পী। সবার সঙ্গে যোগাযোগ কম। আমার ফেসবুক বন্ধু ছিলেন নির্মাতা অনীক দত্ত। বাবাকে নিয়ে যখন কোনো লেখা লেখতাম, মাঝে মাঝে এতে মন্তব্য করতেন। হঠাৎ করেই গত রোজার মাসে তিনি আমাকে টেক্সট করলেন। বাবাকে নিয়ে জানতে চাইলেন। বললেন, আমি আপনার কিছু কাজ দেখেছি। সিনেমার কাজের ইচ্ছা আছে কিনা– তাহলে চিত্রনাট্য পাঠাবো।  এমন একজন  নির্মাতার কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়ে অবাকই হয়েছি। বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল। ভাবলাম, এটি কি সত্যি! আমাকে কেন্দ্রীয় চরিত্রের জন্য ভাবছেন জানালেন। অডিশনের জন্য আমার কাজের ভিডিও  দেখতে চাইলেন। তিনি পছন্দ করলেন। এর পর চিত্রনাট্যও পেলাম। আমার চরিত্রের অংশটুকু অভিনয় রেকর্ড করে তাঁকে পাঠালাম। এভাবেই সিনেমার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ি।

কলকাতায় সিনেমার কাজে প্রথমবার, কেমন লাগছে?

ভীষণ টেনশন হচ্ছে। পরীক্ষার আগের রাতে যেমন হয়। বেশ ভালোভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে যাচ্ছি। কাজটা  শেষ করে সবাইকে জানাতে চেয়েছিলাম। এখন সবাই জেনে গেছে। প্রত্যাশাও বেড়ে গেছে সবার। ভালো করার চাপ বেড়ে গেছে।

কাজী নওশাবা আহমেদ।

 দৃশ্যধারণ কোথায় হবে?

কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় দৃশ্যধারণ হবে।  দার্জিলিংয়ে কিছু কাজ আছে। টানা এক মাস শুটিং চলবে। তার পর কিছুদিনের বিরতি দিয়ে ফের কাজ শুরু হবে। আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যেই এর  পুরো কাজ শেষ হবে। কারণ, আগামী বছর পূজায় সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করছেন নির্মাতা।

 ‘মেঘনা কন্যা’ সিনেমার কী খবর?

ডাবিং শেষ করেছি অনেক আগেই। এটি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এটি নারীকেন্দ্রিক গল্প। সিনেমাটি নিয়ে বেশ আশাবাদী। সিনেমাটি বানিয়েছেন ফুয়াদ চৌধুরী। আমাদের দেশে আসলে নারীকেন্দ্রিক গল্প নিয়ে সিনেমা হয় খুব কম। দর্শক গল্পে ভিন্নতা পাবেন।

 এ ধরনের সিনেমা নির্মাণ কম হওয়ার কারণ কী বলে মনে করেন?

এটা মানসিকতার বিষয়। সিনেমায় আমাদের কেন দেখাতে হবে একজন নায়ক এসে  আমাকে বাঁচাচ্ছে। মফস্বলের মেয়েকে কিন্তু একজন হিরো এসে বাঁ‎চায় না। সে তাঁর যুদ্ধটা একাই করে। নির্মাতাদের মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি।

কাজী নওশাবা আহমেদ।

 ওয়েব সিরিজ ‘সাড়ে ষোল’ নিয়ে দর্শক প্রতিক্রিয়া কেমন পাচ্ছেন?

অনেকে সিনেমাটি দেখে ভালোলাগার কথা জানিয়েছেন। ওটিটি নিয়ে যারা বছরের পর বছর কাজ করছেন, তারা আমাকে মেসেজ দিয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। আমার চরিত্রটিতে কোনো গ্ল্যামার নেই। গ্ল্যামারের যুগে একেবারেই মেকআপ ছাড়া অভিনয় করেছি। চোখের নিচে কালি লাগাতে হয়েছে। চরিত্রের জন্য সবইকরেছি। এ কারণে সবাই আমার সাহসের প্রশংসা করেছেন। এটাই আমার বড় পাওয়া।

পরিবর্তন জরুরি।

 ওয়েব সিরিজ ‘সাড়ে ষোল’ নিয়ে দর্শক প্রতিক্রিয়া কেমন পাচ্ছেন?

অনেকে সিনেমাটি দেখে ভালোলাগার কথা জানিয়েছেন। ওটিটি নিয়ে যারা বছরের পর বছর কাজ করছেন, তারা আমাকে মেসেজ দিয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। আমার চরিত্রটিতে কোনো গ্ল্যামার নেই। গ্ল্যামারের যুগে একেবারেই মেকআপ ছাড়া অভিনয় করেছি। চোখের নিচে কালি লাগাতে হয়েছে। চরিত্রের জন্য সবইকরেছি। এ কারণে সবাই আমার সাহসের প্রশংসা করেছেন। এটাই আমার বড় পাওয়া।

এমদাদুল হক মিল্টন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.