শুধু আনুষ্ঠানিকতাই বাকি ছিল। কাল রাতে সেই আনুষ্ঠানিকতাটুকু সেরে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হয়ে গেলেন মইজেস কাইসেদো। ১১ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড বা ১৩ কোটি ৩০ লাখ ইউরোর (প্রায় ১৬০০ কোটি টাকা) বিনিময়ে ব্রাইটন থেকে ইকুয়েডরিয়ান মিডফিল্ডারকে দলে টেনেছে চেলসি। ফুটবলের দলবদলের ইতিহাসে এর চেয়ে বেশি দামে অন্য ক্লাবে গেছেন শুধু সময়ের অন্যতম দুই সেরা ফুটবলার নেইমার ও কিলিয়াস এমবাপ্পে।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে দলবদল বা ট্রান্সফার ফির আগের রেকর্ড এই ২০২৩ সালেই গড়েছিল চেলসি। পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকা থেকে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজকে ১০ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ডে (১২.১ কোটি ইউরো) দলে টেনেছিল পশ্চিম লন্ডনের ক্লাবটি। আট বছরের চুক্তিতে ২১ বছর বয়সী কাইসেদোকে দলে টানতে গিয়ে সেই রেকর্ড ভাঙল টড বোহেলির চেলসি। চেলসি অবশ্য এখন ব্রাইটনকে সাড়ে ১১ কোটি পাউন্ড দেয়নি। এখন ১০ কোটি পাউন্ড পেয়েছে ব্রাইটন। পরে পারফরম্যান্স বোনাস হিসেবে আরও দেড় কোটি পাউন্ড যোগ হবে ব্রাইটনের ব্যাংক হিসাবে।
কাইসেদোকে বেচে বিশাল অঙ্কের লাভই করেছে ব্রাইটন। ২০২১ সালে ইকুয়েডরের ইন্দেপেনদিয়েন্তে দেল ভায়ে ক্লাব থেকে মাত্র ৪০ লাখ পাউন্ডে কাইসেদোকে কিনেছিল চেলসি।
কাইসেদোর ট্রান্সফার ফির রেকর্ড গড়ায় অবদান আছে লিভারপুলেরও। ইয়ুর্গেন ক্লপের দলই যে প্রথম ইংলিশ রেকর্ড ১১ কোটি পাউন্ড দিতে চেয়েছিল কাইসেদোর জন্য। চেলসি বেশি দাম হাঁকিয়ে কাইসেদোকে দলে টানার লড়াই থেকে হটিয়ে দেয় লিভারপুলকে।
চেলসিতে যোগ দেওয়ার পর দেওয়ার পর বিবৃতি দিয়েছেন কাইসেদো। ইকুয়েডরিয়ান মিডফিল্ডার বলেছেন চেলসির কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর দুবার ভাবেননি তিনি, ‘চেলসিতে যোগ দিতে পেরে অনেক খুশি আমি। বড় এই ক্লাবে আসতে পেরে আমি বেশ রোমাঞ্চিত। চেলসি যখন ডাকল দ্বিতীয়বার ভাবতে হয়নি আমাকে। আমি তো এই ক্লাবেই যোগ দিতে ইচ্ছুক ছিলাম। এখানে এসে স্বপ্ন পুরো করলাম। মাঠে নামতে তর সইছে না।’
কাইসেদো চেলসির হয়ে প্রথম মাঠে নামতে পারেন আগামী রোববার। সেদিন পূর্ব লন্ডনের ক্লাব ওয়েস্ট হামের বিপক্ষে খেলবে চেলসি।
গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে ১২তম হয়েছিল চেলসি। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী বোহলি মালিকানা নেওয়ার পর দলবদলের তিনটি উইন্ডোতে ৯০ কোটি পাউন্ড খরচ করেছে ক্লাবটি।