নেইমারের ফিজিওথেরাপির কাজে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘কমপ্রেশন বুট’ নামের এই প্রযুক্তির ছবি নেইমার নিজেই প্রকাশ করেছেন। দ্রুত ব্যথা কমাতে দুই পায়েই এই পোশাক পরতে হয়।
দেখতে অনেকটা প্যান্টের মতো। এর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া প্রযুক্তি শরীরের ব্যথা কমানোর কাজ করে, যা নাসাতে ব্যবহার করা হয়। তবে শুধু ব্যথা নয়, আঘাত পাওয়া জায়গায় রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখা, ফোলা কমানো, ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু পুনর্গঠন ও ক্র্যাম্প কমানোর কাজও করে এ প্রযুক্তি।
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রাজিল জিতলে নেইমারকে হয়তো ক্যামেরুনের বিপক্ষে খেলানোর ঝুঁকি না–ও নেওয়া হতে পারে। কিন্তু এর বাইরে কোনো ফল হলে চোট পাওয়া নেইমারের দ্বারস্থ হতে পারে ব্রাজিল।
এই চোট নিয়ে নেইমার আগেই ইনস্টাগ্রামে বলেছেন, ‘জাতীয় দলের জার্সি পরে আমি যে গর্ব অনুভব করি, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। সৃষ্টিকর্তা আমাকে আরও একবার জন্ম নেওয়ার সুযোগ দিলে ব্রাজিলেই জন্ম নিতে চাইতাম…এখন আমার ক্যারিয়ারে অন্যতম কঠিন সময়। বিশ্বকাপে আবারও চোটে পড়েছি। তবে ফেরার ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। দেশের মানুষকে ও দেশকে সাহায্য করতে আমি সবকিছুই করব।’
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘এএস’ জানিয়েছে, নেইমার নাসার এই প্রযুক্তি বার্সেলোনায় খেলার সময়ও ব্যবহার করেছিলেন। ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) ফিজিওথেরাপি দলের কাছেও এ প্রযুক্তি আছে। এটি একই সঙ্গে দুই পায়ে ব্যবহার করতে হয়।
কমপ্রেশন বুটটি পরে তিনভাবে পায়ে ম্যাসাজ করা যায়। নেইমার আপাতত এই ম্যাসাজ নিয়েই সুস্থ হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন। এদিকে ব্রাজিল কোচ তিতেও বলেছেন, বিশ্বকাপে অবশ্যই নেইমারকে আবার খেলতে দেখা যাবে।
কবে, তা সময়ই বলে দেবে।