অতিরিক্ত ডিআইজির বাড়িতে মুখোশ পরে ডাকাতি, মালামাল লুট

0
89
গাজীপুর জেলার মানচিত্র

আবদুল বাতেন বলেন, লুটপাট শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় তাঁদের দুজনকে বেঁধে রেখে যেতে চান ডাকাত দলের সদস্যরা। নিজের অসুস্থতার কথা বলে অনুরোধ করার পর তাঁদের না বেঁধেই ডাকাতেরা চলে যায়। পরে বাইরে এসে আশপাশের লোকজনকে ঘটনার কথা জানান তাঁরা। ডাকাত দলের প্রত্যেকেই হাফপ্যান্ট পরা ছিল। কারও মুখে ছিল মাস্ক, আবার কারও মুখ কাপড় বাঁধা। তাই তাদের চেনা যায়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আধা ঘণ্টা ধরে লুটপাট চালিয়ে টাকা, স্বর্ণালংকার ও বিশেষ অনুষ্ঠানে পরার জন্য অতিরিক্ত ডিআইজির ইউনিফর্ম নিয়ে যায় ডাকাতেরা

আধা ঘণ্টা ধরে লুটপাট চালিয়ে টাকা, স্বর্ণালংকার ও বিশেষ অনুষ্ঠানে পরার জন্য অতিরিক্ত ডিআইজির ইউনিফর্ম নিয়ে যায় ডাকাতেরা

পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাসিন্দা ও অতিরিক্ত ডিআইজির চাচাতো ভাই শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ডাক-চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে এসে আমরা কাউকে পাইনি। চাচা ও চাচিকে অস্ত্র ঠেকিয়ে সবকিছু লুটে নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ঘটনায় এলাকার লোকজন বেশ আতঙ্কে পড়ে গেছেন। খবর পেয়ে রাত তিনটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছিল।’

মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মিন্টু মিয়া বলেন, ‘দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে ওই বাড়িতে লুটপাট করা হয়েছে। পুলিশের পোশাকসহ অন্যান্য জিনিসপত্র, টাকাপয়সা লুট হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঘটনার পরপর পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে। আশা করি, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে পারব।’

এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি একই গ্রামে মো. আলমগীর হোসেন নামের এক ব্যক্তির বাড়ির দরজা ভেঙে ব্যাপক লুটপাট চালায় ডাকাত দল। এর ছয় দিন আগে একই গ্রামের অন্য একটি বাড়িতেও ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ডাকাতেরা হাফপ্যান্ট ও মুখোশ পরা ছিল।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.