মার্কিন রাষ্ট্রদূত বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে গেলে ভালো লাগত: ওবায়দুল কাদের

0
124
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজিদুল ইসলাম সুমনের বাসায় যাওয়ার কঠোর সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে গেলে সেটা দেখতে বেশি ভালো লাগত। কিন্তু তিনি চলে গেছেন সুমনের বাড়িতে। সবিনয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি মাসে কতজন গুম হয়? কতজন ধর্ষণের শিকার হয়? সেই চিত্রও আমরা কিন্তু সিএনএনে দেখেছি।

বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভার সূচনা বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পিটার হাস সাহেব বুদ্ধিজীবী দিবসে আজ (বুধবার) সকালে সাজিদুল সুমনের বাড়ি গেলেন। ২০১৩ সালে নিখোঁজ হয়েছিলেন, তাঁর বাড়িতেই তিনি গেলেন।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আলোচনা সভা (ছবি-ফোকাস বাংলা) 

হেফাজতের নেতাকর্মী গুম হওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বলা হলো ৬৭ জনকে গুম করে খুন করেছে শেখ হাসিনার সরকার। পরে সাংবাদিকরা তদন্ত করে দেখলেন এদের অধিকাংশ মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে, সেই অবস্থায় এদের ছবি তুলেছে। এই যে ৬৭ জন এরা কি গুম হয়েছিল?

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, যারা গুম নিয়ে কথা বলেন, তাঁদের বলব ফরহাদ মজহারও নাকি গুম হয়েছিলেন! কয়েক ঘণ্টা পর দেখা গেল, তিনি খুলনা অভিমুখে বাসে। নিজে নিজেই চলে গেছেন, এটাও কি গুম? এসব ঘটনা অনেক আছে। মামলা হয়েছে, খুনের মামলা, মাদকের মামলা। এমন অনেকে নিজেই নিজেকে নিখোঁজ করেছে।

তিনি বলেন, বিএনপির এ রকম অসংখ্য কর্মী আছেন, যাঁরা মামলা থেকে রক্ষা পেতে নিখোঁজ রয়েছেন। চকরিয়ার সালাউদ্দিন, কত অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। সেই সালাউদ্দিন নিজে নিজেই চলে গেলেন ভারত। এসব গুমের কাহিনি জানা উচিত মিস্টার পিটার হাস।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আনতে বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর আমেরিকা সফরের কথা তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমীর খসরু একা যাননি। লবিস্ট নিয়োগ করেছেন তাঁরা। তাঁর নাম টোবি ক্যাডম্যান, ব্রিটিশ আইনজীবী। টোবি ক্যাডম্যান আলজাজিরাকে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমি বাংলাদেশের পুলিশ ও র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে অনুরোধ করেছিলাম। যুক্তরাষ্ট্র কথা রেখেছে, যুক্তরাজ্য আমার অনুরোধ রাখেনি’। এটা বলে উষ্মা প্রকাশ করেছেন তিনি।

বিরোধীদের নিষেধাজ্ঞার মিশন ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এসব গুমের কাহিনি শুনিয়ে লাভ নেই। নিষেধাজ্ঞা আরোপ করাবেন বাংলাদেশের ওপর! আমীর খসরুর ওয়াশিংটন মিশন ফেইলড। নিষেধাজ্ঞা দেওয়াতে চেয়েছিল, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ২০ দেশের ৭০ জনের বিরুদ্ধে সেখানে বাংলাদেশ নেই। তবুও তাঁরা লবিস্ট নিয়োগ করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.