নির্বাচনকে সামনে রেখে চলতি অর্থবছরের বাজেটে নির্বাচন কমিশনের জন্য ২ হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা গত অর্থবছরের চেয়ে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা বেশি।
২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেটের দলিল দেখে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নির্বাচনের জন্য যত টাকা লাগবে, তা দেওয়া হবে। এ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।
নির্বাচনের বাজেট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আজ বুধবার অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
গতকাল মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময় জানান। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার।
এদিকে গত জুনে চলতি অর্থবছরের বাজেট দেওয়া হয়। তখন নির্বাচন কমিশনের জন্য আগেরবারের চেয়ে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ রেখে ২ হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা রাখা হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের জন্য যত বরাদ্দ রাখা হয়েছে, এর মধ্যে ২ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা পরিচালন ব্যয় বাবদ বরাদ্দ আর ২২৯ কোটি টাকা উন্নয়ন বরাদ্দ। এর মানে, নির্বাচনের কাজে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হতে পারে।
দেশে সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি। সেটি ছিল ২০২৩–২৪ অর্থবছর। ওই বছর নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের জন্য বরাদ্দ ছিল ৪ হাজার ১৯০ কোটি টাকা; যার মধ্যে পরিচালন খরচ বাবদ বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা আর উন্নয়ন ব্যয় বাবদ বরাদ্দ ছিল ২০৯ কোটি টাকা। সেই হিসাবে ২০২৪ সালের সর্বশেষ নির্বাচনের জন্য পরিচালন খরচ বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছিল প্রায় চার হাজার কোটি টাকা।