প্রধান নির্বান কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবীবুল আউয়াল বলেছেন, ‘নির্বাচন আসলে সহজ নয়। আমরা কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছি। সংকট সমাধান করতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকে। তারা যদি পরিস্থিতি অনুকূল করে দেয়, ইসির কাজ সহজ হবে। পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে রাজনৈতিক স্বদিচ্ছার প্রয়োজন রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বারবার বলেছি, রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতা হোক। চায়ের টেবিলে বসেন। দেশীয় পদ্ধতিতেই সমাধান হতে হবে। কিন্তু নাগরিক সমাজকে সেভাবে সক্রিয় দেখছি না।’
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক বৈঠকে এসব কথা বলেছেন সিইসি।
স্বাগত বক্তব্যে কাজী হাবীবুল আউয়াল বলেন, ‘আমাদের দেশে মাস্তান ও পেশিশক্তি আছে। ফলে প্রিসাইডিং অফিসার অসহায় হয়ে পড়েন। আমরা নির্বাচন বাতিল করতে পারব। তবে যার জন্য নির্বাচন বাতিল হবে তিনি আর ভোট করতে পারবেন না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে রাজনীতির প্রশ্নে রাজনীতিকরা তীক্ষ্ণভাবে বিভক্ত। যার ফলে রাজনৈতিক বিতর্ক উপস্থাপন হলে আলোচনাগুলো খুবই ধারালো, আক্রমণাত্মক হয়ে থাকে। আজকে সেদিকে যাবো না। আমরা সামনের দিকে তাকাতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের মন্ত্রীদের কাছ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘আগে কিন্তু সরকার কখনো এই প্রতিশ্রুতি দেয়নি। এই প্রথমবারের মতো সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রী যখন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তখন কিন্তু দলের নেতা হিসেবে নয়, সরকারের মন্ত্রী হিসেবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনার যে বক্তব্য জামালপুরের জেলা প্রশাসক দিয়েছেন- সেই প্রসঙ্গে হাবীবুল আউয়াল বলেন, ‘ডিসিরা নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকবেন। হয়ত রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বেও থাকবেন। তাদের কাছ থেকে বক্তব্য কাঙ্ক্ষিত নয়।’
আলোচনায় অংশ নেন সভায় সাবেক নির্বাচন কমিশনার, আমলা ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।