আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রথমবারের মতো সব প্রার্থীর জন্য একই মঞ্চে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করার বাধ্যবাধকতা রেখে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর জন্য ‘আচরণ বিধিমালা, ২০২৫’ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে বিধিমালাটি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে। এতে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ এবং ২০০৮ সালের আচরণবিধির সঙ্গে সমন্বয় রেখে বেশ কিছু নতুন ও কঠোর বিষয় যুক্ত করে এই আচরণবিধি প্রণয়ন করা হয়েছে।
নতুন এই বিধিমালায় ভোটের প্রচারণায় প্রথমবারের মতো পোস্টার ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি ড্রোন ব্যবহার এবং বিদেশে যে কোনো ধরনের প্রচারণা কার্যক্রমেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
বিধিমালা অনুযায়ী, পরিবেশ দূষণ রোধ ও ব্যয় নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় সব ধরনের পোস্টার ব্যবহার এবং ড্রোন ব্যবহারের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রার্থীর পক্ষে ২০টির বেশি বিলবোর্ড, ব্যানার বা ফেস্টুন ব্যবহার করা যাবে না।
এ ছাড়া, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভোটের প্রচারেও কঠোর নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। বিশেষত, অসৎ উদ্দেশ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে কোনো প্রচার চালানো সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নতুন বিধান অনুযায়ী, আচরণবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশনে একটি অঙ্গীকারনামা জমা দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে এবার কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। কোনো প্রার্থী বিধিমালা ভঙ্গ করলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড ও দেড় লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে। এ ছাড়া, রাজনৈতিক দলের জন্য দেড় লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। গুরুতর লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে তদন্ত সাপেক্ষে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতাও নির্বাচন কমিশনকে দেয়া হয়েছে।
















