চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে যেনো আলোচনা থামছেই না। সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ১৯ এপ্রিল। এতে জয়ী হয় মিশা-ডিপজল প্যানেল। ইতোমধ্যে কাজও শুরু করেছেন তারা। এর মধ্যেই কমিটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নাসরিন আক্তার নিপুণ। রিটে তাদের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞাও চাওয়া হয়েছে।
এদিকে লন্ডন থেকে এক সাক্ষাৎকারে ডিপজলকে ‘অশিক্ষিত’ বলে মন্তব্য করেছেন সাধারণ সম্পাদক পদে হেরে যাওয়া নিপুণ আক্তার। এই অভিনেত্রী বলেন, স্যরি টু সে, আমাকে বলতে হচ্ছে- শিল্পী সমিতিতে এমন একজন সেক্রেটারি পদে এসেছেন যার কোনো শিক্ষা নেই। এটা ২০২৪ সাল। আমরা ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে আছি। এটা অশিক্ষিত লোকদের জায়গা না, এটা আনকালচারদের জায়গা না। এটা কাজ করে দেখিয়ে দেওয়া লোকদের জায়গা।
এরপর নিপুণ বলেন, শুধু কাজ করলেই হবে না। জ্ঞান থাকতে হবে, শিক্ষিত হতে হবে। আমি একজন গ্রাজুয়েট। আমার তিন প্রজন্ম গ্রাজুয়েট।
নিপুণের কটাক্ষের জবাব দিয়ে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজল বলেন, তিনি তো বাপকেই অস্বীকার করে। রক্তের সমস্যা না হলে এমন বলতে পারে না। কারণ, ও (নিপুণ) যাকে দিয়ে চলচ্চিত্র চিনেছে তাকেই ভুলে গেছে, অস্বীকার করছে। কেস খেলবা আসো। যেটা খেলার মন চায় সেটাই খেলো। আমরা চাই ভদ্রতা ও নম্রতা। আমরা চাই চলচ্চিত্র কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সেদিকেই কাজ করব। আমরা ঝামেলা চাই না।
এদিকে নিপুণের রিটের পর বৃহস্পতিবার (১৬ মে) তার সমর্থিত শতাধিক শিল্পীরা মিশা-ডিপজলকে সংবর্ধনা জানিয়েছেন। এসময় তাদের উদ্দেশে ডিপজল বলেন, আমরা কাউকে আলাদা করতে চাইনি। আমি আগেও বলেছি এখনও বলছি—যারা এক দিনের জন্য সদস্য হয়েছে, কিন্তু বাদ পড়েছে তারা সদস্যপদ ফিরে পাবে সেটা নির্বাচনের আগেই বলেছিলাম। যেহেতু নির্বাচিত হয়েছি এখন তাদের সদস্যপদ ফিরিয়ে দেব। বিগত দিনে যারা ভুল করেছে তাদের আমরা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখছি, আপনারাও দেখবেন। পেছনে ফিরে তাকানোর সময় নেই। কীভাবে চলচ্চিত্রের উন্নয়ন করা যায় সেভাবে কাজ করতে হবে।