এ প্রসঙ্গে মিতু বলেন, ‘আমি একদম বসে থাকতে পারি না। কোনো কাজ না থাকলে মাথায় অনেক গল্প আসে। তখন ছোট ছোট ছোট করে লিখে রাখি বা রেকর্ড করে রাখি। পরে সেটা আরও সুন্দর করে বড় পরিসরে লিখি। এটি আমার ছোটবেলার অভ্যাস।’
সিনেমায় গান লেখা ও সুর করা প্রসঙ্গে জাহারা মিতু বলেন, ‘এগুলো হঠাৎ করেই হয়ে গেছে। “পাখি পাখি” গানটি অন্য একজন লিখেছিলেন। কিন্তু সিনেমার পরিস্থিতির সঙ্গে গানের কথাগুলো মিলছিল না। এরপর গানের কথা নিয়ে পরিচালককে একটা পরিকল্পনা দিই। তখন পরিচালকই গানটি লিখতে বলেন। পরে গানটি লিখে ফেলি। সবাই গানটি পছন্দও করেছেন।’
জাহারা মিতু আরও বলেন, ‘দুই বছর আগে আমি ও আমার বন্ধু হৃদয় আড্ডা দিতে দিতে লিখেছিলাম “পিয়া রে পিয়া” গানটি। আমাদের ভাবনা ছিল সিনেমায় ব্যবহার করব গানটি। ‘শক্র’ ছবির একটি দৃশ্যের শুটিং শেষ করে নায়ক ও প্রডিউসারের সঙ্গে গাড়িতে যাচ্ছিলাম। তখন গাড়িতে গানটি শুনছিলাম। গানটি শুনে প্রডিউসারের পছন্দ হয়ে যায়।’
শুটিংয়ের পর নিজের লেখা ও সুর করা গানগুলো কি নিজে শোনা হয়েছে—জানতে চাইলে মিতু বলেন, ‘রেকর্ড করার সময় শুনেছিলাম। এরপর শুটিং শেষ করে সম্পাদনার সময় প্যানেলেও শুনেছি। আমার সৃষ্টি যখন পর্দায় ফুটে উঠতে দেখেছি, অন্য রকম শান্তি দিয়েছে আমাকে। তবে বাজেট আরেকটু ভালো থাকলে গানের দৃশ্যগুলো আরও ভালো জায়গায় ধারণ করা গেলে পর্দায় দেখতে আরও ভালো লাগত।’
অন্যের সিনেমায় বা সিনেমায় নিয়মিত গান লেখার ইচ্ছা আছে কি না—এ প্রসঙ্গে মিতু বলেন, ‘এখন পর্দার সামনের চেয়ে পেছনের কাজই বেশি পছন্দ আমার। সিনেমা পরিচালনা করার ইচ্ছা আছে। সেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। তবে নিয়মিত গান লেখার বিষয়টা পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। কেউ লিখতে বসিয়ে দিলে আমার লেখালেখি হয় না। আমার মধ্যে লেখার ভাবটা এলে আমি লিখি। কোনো সিনেমার গান লেখার প্রস্তাব এলে কথাবার্তায় মিলে গেলে বা আমার দ্বারা লেখা সম্ভব হলে তখন কাজটি করব। কিন্তু শুধু আমি টাকা পাচ্ছি, বিনিময়ে লিখছি, ওই লেখা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’ ‘কুস্তিগির’ ও ‘শত্রু’র শুটিং শেষ। ছবিগুলো এখন মুক্তির অপেক্ষায় আছে।