বোগোটায় অনুষ্ঠিত এবারের সাউথ আমেরিকান অনূর্ধ্ব–২০ চ্যাম্পিয়নশিপ ছিল ৩০তম আসর।
এল কাম্পিনে আয়োজিত শেষ ম্যাচে ব্রাজিলের দুটি গোলই এসেছে শেষ দিকে। ৮৪ মিনিটে প্রথম গোলটি করেন আন্দ্রে সান্তোস। টুর্নামেন্টে এটি তাঁর ষষ্ঠ গোল, যা যৌথভাবে সর্বোচ্চ। ১৮ বছর বয়সী এই সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার গত মাসে ইংলিশ ক্লাব চেলসিতে নাম লিখিয়েছেন।
৯২তম মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি এনে দেন ব্রাজিলিয়ান ক্লাব করিন্থিয়ানসে খেলা ফরোয়ার্ড পেদ্রো। ব্রাজিলের শেষের ব্রাজিলিয়ান এই ঝলকের পাল্টা জবাব দিতে পারেনি উরুগুয়ের যুবারা। এবার রানার্সআপ হলেও ব্রাজিলের পর এ টুর্নামেন্ট দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮ বার শিরোপা জিতেছে উরুগুয়েই।
এ বছরের সাউথ আমেরিকান অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে বিশেষভাবে মনোযোগী ছিল ব্রাজিল। ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের সর্বশেষ চার আসরের তিনটিতে জায়গা করতে পারেনি তারা।
এবার সেরা চারে জায়গা করার মূল লক্ষ্যে প্রথম ধাক্কা ছিল প্রত্যাশিত খেলোয়াড়দের না পাওয়া। লাতিন আমেরিকান টুর্নামেন্টটির জন্য খেলোয়াড় ছাড়তে বাধ্য ছিল না ক্লাবগুলো। বেশির ভাগ প্রতিশ্রুতিশীল ব্রাজিল ২০ বছরের আগেই ইউরোপীয় ক্লাবে চলে যাওয়ায় দল সাজাতে হিমশিম খেতে হয়েছে কোচ রামন মেনেজেসকে। এমনকি কয়েকটি ব্রাজিলিয়ান ক্লাবও খেলোয়াড় ছাড়েনি।
শেষ পর্যন্ত প্রথমে ঘোষণা করা স্কোয়াড থেকে ৯টি পরিবর্তন এনে কলম্বিয়ায় যেতে হয়েছে কোচকে। ফিফা বিশ্বকাপের টিকিট আর ট্রফি হাতে তুলে শেষটা হয়েছে মধুরই।
লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে ব্রাজিলের মতো ৫ বার ফিফা অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপজয়ের কীর্তি আছে আর্জেন্টিনার। তবে লিওনেল মেসিদের উত্তরসূরিরা এবার গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ায় ইন্দোনেশিয়ার টিকিটই কাটতে পারেনি।