কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ঢাকাসহ দেশজুড়ে নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। নাশকতার স্পটের আশপাশ এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানের অলিগলি, এমনকি বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে পুলিশ। সন্দেহ হলে মোবাইল ফোন যাচাই করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ড বা নাশকতায় সম্পৃক্ততার কোনো আলামত পেলেই আটক করা হচ্ছে। এ ছাড়া সিসিটিভি ক্যামেরা, ভিডিও ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চিহ্নিতদের ধরতেও চলছে অভিযান। র্যাব-ডিবিসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট এ কাজে তৎপর।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) বলছে, নাশকতার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৮টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ১ হাজার ১১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে সোমবার থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬০১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বেশির ভাগ বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মী। এর মধ্যে রয়েছেন বিএনপি নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাইফুল আলম নিরব, রফিকুল আলম মজনু ও সাবেক এমপি এম রাশিদুজ্জামান মিল্লাত। এ ছাড়া রাজনৈতিক সম্পৃক্ততাহীন শ্রমজীবী সাধারণ মানুষকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকার বাইরে আরও অন্তত ১২১টি মামলায় ১ হাজার ৬৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে সারাদেশে অন্তত ১৫৯ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২ হাজার ৭৪৭ জনকে।
পুলিশ সূত্র জানায়, ঢাকার বিভিন্ন স্থানে নাশকতা চালানো বেশির ভাগই বাইরে থেকে এসেছিল। তারা কিছুদিন আগে এসে বিভিন্ন এলাকার বাসা ও মেসে ওঠে। পরে একটি মহলের নির্দেশনা অনুযায়ী সুযোগ বুঝে নাশকতা চালায়।
এদিকে চলমান অভিযানে নিরপরাধ লোকজনকেও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিএনপির দাবি, ঢালাওভাবে দলটির নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, হত্যা-নাশকতায় জড়িত ছিল না, এমন কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। সন্দেহভাজন হিসেবে আটকদের যাচাই-বাছাই করে সংশ্লিষ্টতা না পেলে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, ঢাকায় বিভিন্ন থানা, পুলিশ বক্স, ফাঁড়ি, কর্মকর্তাদের কার্যালয়সহ পুলিশের অনেক স্থাপনায় আগুন দেওয়া হয়েছে। তথ্য বলছে, ঢাকায় ৫৪টি ট্রাফিক বক্স পোড়ানো হয়েছে। ট্রাফিক-গুলশান বিভাগের উপকমিশনার এবং রমনা, রামপুরা, মহাখালী ও উত্তরায় সহকারী কমিশনারের কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে ক্ষতি হয়েছে সাড়ে চার কোটি টাকার।
রামপুরা-বাড্ডায় অভিযান
গতকাল রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা, বনশ্রী ও মালিবাগ এলাকায় পুলিশের কয়েকটি দল অভিযান চালায়। এ সময় প্রতিটি গলিতে আনসার সদস্যদের সশস্ত্র অবস্থায় দেখা যায়। তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি নাশকতাকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশকে সহযোগিতা করছিলেন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মালিবাগ বেটার লাইফ হাসপাতালের পাশের গলিতে অভিযান চালায় পুলিশ। তখন নাশকতায় জড়িত সন্দেহে সাতজনকে আটক করা হয়। পুলিশ বলছে, বিটিভি ভবন থেকে আবুল হোটেল পর্যন্ত প্রতি গলিতে অভিযান চলছে। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সবার মোবাইল ফোনে নাশকতায় অংশ নেওয়ার বিভিন্ন আলামত পাওয়া গেছে। এখন যার ফোনে নাশকতার আলামত পাওয়া যাবে, তাকেই গ্রেপ্তার করা হবে।
এ বিষয়ে রামপুরা থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, গতকাল পর্যন্ত রামপুরা থানা ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছে। বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করেছে বিটিভি কর্তৃপক্ষ। থানায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ দুটি মামলা করেছে। এসব মামলায় খিলগাঁও থানা পাঁচজন এবং শাহজাহানপুর থানা সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, দু’দিন ধরে চিরুনি অভিযান চলছে। এ ছাড়া প্রতিটি ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনায় মামলা হবে। ইতোমধ্যে কয়েকটি মামলা হয়েছে।
বিটিভি ভবন ও মেট্রোরেলে আগুন দেওয়া চারজন গ্রেপ্তার
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে গতকাল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, বিটিভি ভবন, মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন স্থানে নাশকতার ঘটনায় জড়িত গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমানসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার রাতে মিরপুর ও বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের কাছ থেকে শটগানের দুটি গুলির খোসা, দুটি ল্যাপটপসহ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার অন্য তিনজন তারেকের সহযোগী। তাদের দু’জন হলো সজল মিয়া ও আরিফুল ইসলাম। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নাশকতায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
র্যাবের মুখপাত্র আরও বলেন, নৃশংসতায় একশর বেশি র্যাব সদস্য আহত হন। এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। এ ছাড়া আমাদের ১৩টি গাড়ি ভাঙচুর ও পোড়ানো হয়।
নাশকতার বার্তা ছড়ান তেনজিং: ডিবিপ্রধান
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, এ পর্যন্ত ১৫০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। তাদের মোবাইল ফোনের মেসেজ ও অন্য তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তারেক রহমানসহ বিএনপির অনেক জ্যেষ্ঠ নেতা, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের নির্দেশে এই ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়। তাদের কেউ নির্দেশ দিয়েছেন; কেউ অর্থ, খাবার, গুলি সরবরাহ করেছেন; কেউ বোমা, ককটেল, গান পাউডার দিয়েছেন। এমন অনেকের নাম ও ফোন নম্বর আমরা পেয়েছি। মোবাইল ফোনের মেসেজ, ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। ঢাকায় নাশকতার নেতৃত্বে থাকা বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক সাইফুল আলম নিরব, সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ বহু নেতা এ তালিকায় রয়েছেন। তাদের বেশির ভাগকে আমরা গ্রেপ্তার ও মোবাইল ফোন জব্দ করেছি। লন্ডন থেকে যে মেসেজটি এসেছিল, সেটিও পর্যালোচনা করেছি। লন্ডন থেকে তারেক রহমানের মেসেজ সরাসরি আসত বিএনপির নির্বাহী সদস্য (দপ্তরে সংযুক্ত) তরিকুল ইসলাম তেনজিংয়ের কাছে। তিনি বার্তাটি সবাইকে পৌঁছে দেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে গিয়ে দেখা যায়, তিনি ঘরে বসে মদ খাচ্ছেন আর মেসেজ পাঠাচ্ছেন। মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ জামায়াত নেতারা কীভাবে কর্মীদের টাকা দিয়েছেন, সেটিও জানা গেছে। নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে, নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তারা দেশকে অকার্যকর করার পরিকল্পনা করেছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা এমন নির্দেশনা পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
ডিবিপ্রধান বলেন, বিএনপি নেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, রফিকুল আলম, মিয়া গোলাম পরওয়ার, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আমিনুল হক ও জহির উদ্দিন স্বপন এরই মধ্যে ডিবির রিমান্ডে রয়েছেন। গতকাল সোমবার আরও কয়েকজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। তারা হলেন শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাইফুল আলম নিরব, রফিকুল আলম মজনু ও এম রাশিদুজ্জামান মিল্লাত।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যারা হত্যা-নাশকতায় জড়িত ছিল না, এমন কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি ছিল বলেই দ্রুত জড়িতদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। তারা এরই মধ্যে মুখ খুলতে শুরু করেছে।
ঢাকার বাইরে গ্রেপ্তার ১৬৩০
রংপুরে নাশকতার ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত আরও ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে রংপুর মহানগরে ২২ জন ও জেলার ১০ জন রয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তি অধিকাংশই বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী। এর আগে এসব নাশকতার মামলায় জেলা ও মহানগর মিলে আরও ৯৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে গ্রেপ্তার দাঁড়িয়েছে ১২৫-এ।
খুলনায় নাশকতার অভিযোগে এ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের ৭৬ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নাশকতার অভিযোগে নগরীর তিন থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। খুলনা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হক জানান, নাশকতার অভিযোগ করা মামলায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় বিএনপি ও জামায়াতের ১৮ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিলেটে মহানগর পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানায় সোমবার রাতে আরও একটি মামলা হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন থানায় মামলা হয়েছে আটটি। গতকাল পর্যন্ত ১০৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নাশকতার মামলায় সুনামগঞ্জ পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি আবদুস সাত্তার মো. মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শহরের মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিকে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা, ছাতক, জগন্নাথপুর ও দিরাই উপজেলায় চারটি নাশকতার মামলা হয়েছে।
ময়মনসিংহ বিভাগে পুলিশের কাজে বাধা, হামলা, ভাঙচুর ও নাশকতার অভিযোগে গতকাল পর্যন্ত ৩৩টি মামলায় ১৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে নাশকতার ঘটনায় ময়মনসিংহ জেলায় ৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে রয়েছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক একেএম শফিকুল ইসলাম। নাশকতার ঘটনায় তিন থানায় সাত মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ৩ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। গাজীপুর মহানগরে নাশকতার ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা হয়েছে ৩০টি।
চট্টগ্রামে ১৪টি মামলায় গত ছয় দিনে ৩২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের অধিকাংশ বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী।
বগুড়ায় গত কয়েক দিনে সহিংসতার ঘটনায় ১১ মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার। নাম উল্লেখ করা হয়েছে ২৭৮ জনের। বাকিরা অজ্ঞাতপরিচয় আসামি। এদিকে সোমবার রাতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনাসহ কয়েক দিনে ১২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পাবনায় নাশকতার ঘটনায় গত কয়েক দিনে ১২৯ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে আছেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনিসুল হক বাবু ও শ্রমিক দলের সভাপতি আবদুল গফুর। আটক অধিকাংশ বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী। পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান জানিয়েছেন, পাবনা সদর থানার তিনটি মামলার আসামি তিন শতাধিক। ঈশ্বরদীতে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান, পৌর বিএনপির সহসভাপতি জসিম শেখ। গতকাল আদালতের মাধ্যমে তাদের পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
বরিশালের বানারীপাড়ায় নাশকতার মামলায় বিএনপি-জামায়াতের পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন– উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্য নুরুল আহাদ মিজান বারী, জামায়াতের রোকন আল-মামুন, বানারীপাড়া উপজেলার চাখার ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বেপারি, যুবদলের সদস্য সচিব মজিবুল হক ও জামায়াতের কর্মী ওমর ফারুক। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কক্সবাজারে বিএনপি-যুবদলের ২৯ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মানিকগঞ্জে নাশকতার মামলায় জেলা বিএনপি নেতাসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে দৌলতপুর উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, যুবদল নেতা আসাদুর রহমান মুন্না, আলাউদ্দিন, মনির হোসেন ও মিলন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে শিবালয় থানা পুলিশ। এদিকে জেলা বিএনপির সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্রকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ।
ঢাকার দোহারে নাশকতার ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দোহার থানায় করা একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সাভার মডেল থানা ও আশুলিয়া থানার মামলায় ৮৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল দুই থানার কর্মকর্তারা জানান, আশুলিয়া থানার তিন মামলায় ৩৭ জন ও সাভার মডেল থানায় তিন মামলায় ৫২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নাশকতার ঘটনায় মাদারীপুরে গতকাল পর্যন্ত ৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সদর থানায় মোট তিনটি মামলা হয়েছে। টাঙ্গাইলে ১৪১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতারা ১০টি মামলা করেছেন। এর মধ্যে টাঙ্গাইল সদর ও মধুপুরে তিনটি করে, ধনবাড়ী ও ঘাটাইলে একটি করে এবং কালিহাতীতে দুটি। এসব মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।