
নারীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করে এক অবরুদ্ধকর পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। নারীরা সহিংসতা ও বৈষম্যেরও শিকার হচ্ছেন। এটি নারীর অগ্রগতিসহ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক নয়।
‘নারীর প্রতি সহিংসতা, বৈষম্য ও নারীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করার এবং সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে’ এক মানববন্ধনে মহিলা পরিষদের নেতারা এ কথাগুলো বলেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে মহিলা পরিষদ। পরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম। তিনি বলেন, রাষ্ট্রে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও অবনতি চরমে। নারীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত করে অবরুদ্ধকর পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হামলার কথা উল্লেখ করে ফওজিয়া মোসলেম বলেন, সংখ্যালঘুদের নাগরিক হিসেবে সমান অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
সব পরিবর্তন যে কল্যাণকর নয়, তা আজ নারী সমাজ বুঝতে পারছে বলে মানববন্ধনে মন্তব্য করেন মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। তিনি বলেন, নারীকে জনপরিসরে ক্রমাগত হেনস্তা করা হচ্ছে।
নারীকে অবরুদ্ধ করতে একটি গোষ্ঠীর তৎপরতা বৃদ্ধি নারীর ক্ষমতায়নের প্রশ্নে রাষ্ট্রীয় ভূমিকার পশ্চাৎপদতাকে তুলে ধরছে। রাষ্ট্রের এই পশ্চাৎপদতার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে সবার প্রতি আহ্বান জানান মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক।
মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) প্রতিনিধি ফারজানা আখতার এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিজ ইন বাংলাদেশের (এডাব) প্রতিনিধি সমাপিকা হালদার।
এ ছাড়া ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা এই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন মহিলা পরিষদের অ্যাডভোকেসি ও নেটওয়ার্কিং পরিচালক জনা গোস্বামী।