কথায় আছে, নামে নামে যমে টানে। যুক্তরাজ্যের ২১ বছর বয়সী কাইরান হ্যারিসের ক্ষেত্রেও প্রবাদটি খাটে। অবশ্য হ্যারিসের বিষয়টি ততটা গুরুতর নয়। নামের মিল থাকায় ইজিজেট এয়ারলাইনস তাঁকে ১০ বছরের জন্য তাদের উড়োজাহাজে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেছে। শুধু নামই নয়, হ্যারিসের জন্মতারিখও তাঁকে এই বিপাকে ফেলেছে।
ছুটি কাটাতে বন্ধুদের সঙ্গে স্পেনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন চেশায়ারের বাসিন্দা হ্যারিস। কিন্তু তাঁদের ফ্লাইট ছেড়ে যাওয়ার এক দিন আগেই ঘটে যায় চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি। এয়ারলাইনসটির পক্ষ থেকে ই–মেইলে জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘অতীতে শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করায়’ তিনি তাদের ফ্লাইটে চড়তে পারবেন না।
হ্যারিসকে আরও জানিয়ে দেওয়া হয়, তিনি এই এয়ারলাইনসের ‘১০ বছর উড্ডয়ন নিষেধাজ্ঞার’ তালিকায় রয়েছেন। আর এই নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে ২০৩১ সালের মার্চ মাসে। ভ্রমণের আগমুহূর্তে এয়ারলাইনসের পক্ষ থেকে এমন বার্তা পেয়ে হ্যারিসের মাথায় রীতিমতো আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা।
পরে খোঁজ নিয়ে হ্যারিস জানতে পারেন, আরেক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁকে গুলিয়ে ফেলেছে এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ। একই নামের এক ব্যক্তি ২০২১ সালে ইজিজেটের একটি ফ্লাইটে আক্রমণাত্মক ও বাজে আচরণ করেছিলেন। এ জন্য তাঁকে ১২ সপ্তাহ কারাগারেও থাকতে হয়েছিল। শুধু নামই নয়, ওই ব্যক্তির জন্মতারিখের সঙ্গেও মিল আছে।
হ্যারিস বলেন, ‘ফ্লাইটের আগের দিন সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আমার বন্ধু একটি ই–মেইল পান। এতে ১০ বছরের উড্ডয়ন নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে বলা হয়, আমাকে বুকিং তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আমি হতবুদ্ধ হয়ে যাই। কিছুই মাথায় ধরছিল না। আমি এর আগে কখনো ওই এয়ারলাইনসে বুকিং দিইনি। ওই ফ্লাইটে আমার কোনো আসন ছিল না। এমনকি আমার সেদিন বিমানবন্দরে যাওয়ারও কোনো কারণ ছিল না।’
অবশ্য পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য ইজিজেট হ্যারিসের পাসপোর্টের একটি ছবি পাঠানোর অনুরোধ করলে সমস্যাটির সমাধান হয়। শেষ পর্যন্ত ভুলবশত তাঁর ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। ফ্লাইট ছেড়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে তাঁকে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়।
তবে এমন হয়রানির শিকার হয়ে ফুঁসেছেন হ্যারিস। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার কারণে ভবিষ্যতে আমার ইজিজেটে যাতায়াতের সম্ভাবনা কম। আমি নিশ্চিতভাবে আর কখনো ইজিজেটে ভ্রমণ করতে চাই না।’