চীনা কূটনীতিককে বহিষ্কার করল কানাডা

0
86
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জলি

কানাডার টরন্টোভিত্তিক চীনা কূটনীতিক ঝাও ওয়েইকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে- চীনের এই কূটনীতিক উইঘুর মুসলিম সংখ্যালঘুদের প্রতি চীনের আচরণের সমালোচনা করা কানাডার এক আইনপ্রণেতাকে টার্গেট করার চেষ্টা করেছেন। খবর রয়টার্সের

কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জলি বলেছেন, ‘আমরা কোনো ধরনের বিদেশি হস্তক্ষেপ সহ্য করব না।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বহিষ্কারের ফলে চীন-কানাডার সম্পর্কে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কানাডার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার চীন পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে।

এদিকে চীনা দূতাবাস এই বহিষ্কারের নিন্দা জানিয়েছে এবং কানাডা সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এই উদ্যোগের প্রতিবাদ জানিয়েছে।

চীনা দূতাবাসের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে দূতাবাসের এক মুখপাত্র বলেন, ‘চীন কঠোরভাবে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।’

গোয়েন্দা সংস্থা কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (সিএসআইএস) ২০২১ সালে কানাডায় চীনা প্রভাব নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিল। ওই প্রতিবেদনে কনজারভেটিভ সংসদ সদস্য মাইকেল চং ও তার পরিবারের প্রতি সম্ভাব্য হুমকি বিষয়ক তথ্য তুলে ধরা হয়।

চং সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্ত নিতে সরকারের ২ বছর সময় নেওয়া উচিত হয়নি।’

তবে চীনের দাবি, তারা কখনো কানাডার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেনি এবং এ বিষয়ে চীনের কোনো আগ্রহও নেই। চীনের টরন্টো কনস্যুলেট জেনারেল বলেছেন, চংকে নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই, এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে গ্লোব পত্রিকা জানিয়েছে- চংয়ের তথ্য সংগ্রহে জড়িত ছিলেন ঝাও। চং ২০২১ সালে উইঘুর মুসলিম সংখ্যালঘু ইস্যুতে চীনের বিরুদ্ধে একটি সফল প্রস্তাব উপস্থাপন করেছিলেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.