
ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আগামী বুধবার (২৮ মে) ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ করবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। সমাবেশে ঢাকা, সিলেট, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ থেকে ১৫ লাখ তরুণের জমায়েত আশা করছেন আয়োজকেরা।
আজ সোমবার ঢাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
এই সমাবেশে তরুণদের কাছে টানতে মে মাসজুড়ে কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপির এই তিন সংগঠন। কর্মসূচি অনুযায়ী, চারটি বড় বিভাগ ও শহরে দুই দিন করে মোট আট দিন সেমিনার ও সমাবেশ করেছেন তাঁরা। এর আগে চট্টগ্রাম, খুলনা আর বগুড়ায় সেমিনার ও সমাবেশ হয়েছে। সর্বশেষ আয়োজন বসছে রাজধানী ঢাকায়।
সংবাদ সম্মেলনে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রামে তারুণ্যের মিলনমেলা দেখেছি। খুলনা ও বগুড়ায় আমাদের লক্ষ্য শতভাগ অর্জিত হয়েছে। ঢাকার সমাবেশে সব রেকর্ড ভেঙে ১৫ লাখ তরুণ-তরুণী যোগ দেবেন বলে আশা রাখছি।’
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দুই দিনের কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহের প্রতিনিধিত্বকারী তরুণদের অংশগ্রহণে আগামীকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে ‘তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ’শীর্ষক সেমিনার এবং আগামী বুধবার অনুষ্ঠিত হবে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’।
যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বিগত সরকারের সময়ে দলীয় পরিচয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। তরুণদের দাবি, রাষ্ট্র যাতে তাঁদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করে। সে সক্ষমতা বিএনপির রয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রথম ১৮ মাসের মধ্যে এক কোটি তরুণের কর্মসংস্থান করা হবে।’
লিখিত বক্তব্যে আরও জানানো হয়, তরুণদের নিয়ে ধারাবাহিক সেমিনার ও সমাবেশ কেবল একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি একটি বৃহৎ নীতিগত প্রয়াস। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতের রাষ্ট্রচিন্তায় তরুণদের সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের তরুণ প্রজন্মের সামনে দলের রাষ্ট্রচিন্তা, রাজনৈতিক রূপরেখা ও ভবিষ্যৎ কৌশল তুলে ধরবেন।
সমাবেশে আরও উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।