নব্য ফ্যাসিবাদী হামলার প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের মশালমিছিল

0
18
উদীচীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় সমাবেশ ও মশালমিছিল করেছে গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্য

শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচার এবং উদীচী, ছায়ানট, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারসহ সারা দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে রাজধানীতে সমাবেশ ও মশালমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় এই কর্মসূচির আয়োজন করে গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্য।

মশালমিছিল শুরুর আগে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের আহ্বায়ক জামসেদ আনোয়ার তপন বলেন, ‘উগ্র ডানপন্থী গোষ্ঠীর উসকানিমূলক বক্তব্য ও হুমকির ধারাবাহিকতায় এই ন্যক্কারজনক হামলা সংঘটিত হয়েছে।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রশাসনকে সতর্ক করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’

জামসেদ আনোয়ার তপন ছাত্রশিবিরের নেতা মুস্তাফিজুর রহমান ও মোস্তাকুর রহমান জাহিদকে গ্রেপ্তার এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অপসারণের দাবি জানান।

সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হচ্ছে। উদীচীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা ও অগ্নিসংযোগকে তাঁরা ‘নব্য ফ্যাসিবাদী’ আক্রমণ হিসেবে উল্লেখ করেন।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লালটু। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের জাকির হোসেন ও কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, বাংলাদেশ থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শাহ আলম, সংস্কৃতি অনুশীলন কেন্দ্রের রঘু অভিজিৎ রায়, মাওলানা ভাসানী পরিষদের হারুনুর রশীদ, প্রগতি লেখক সংঘের দীনবন্ধু দাশ, সমাজ চিন্তা ফোরামের কামাল হোসেন বাদল, রিকশা–ভ্যান–ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের আব্দুল কুদ্দুস, সিপিবির আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন এবং বাসদের বজলুর রশীদ ফিরোজ।

সমাবেশ শেষে একটি মশালমিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পল্টন, জিপিও, গুলিস্তান হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.