নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে ২০২৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা

0
108
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা গত ৩০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে

নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে এসএসসি পরীক্ষা হবে আগামী ২০২৬ সালে। এ কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

আজ সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) আয়োজিত ‘স্মার্ট এডুকেশন ফেস্টিভ্যাল’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

নতুন শিক্ষাক্রমের বিষয়ে দীপু মনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম পুরোপুরি বাস্তবায়ন হতে লাগবে ২০২৫ সাল (দশম শ্রেণি পর্যন্ত)। ২০২৬ সালে গিয়ে শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া শুরু করবে।

উল্লেখ, গত জানুয়ারি থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়েছে। আগামী বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে তা শুরু হবে। এরপর ২০২৫ সালে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে চালু হবে। উচ্চমাধ্যমিকে একাদশ শ্রেণিতে ২০২৬ সালে এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৭ সালে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বড় অংশ হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে (শিখনকালীন)। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পুরোটাই মূল্যায়ন হবে সারা বছর ধরে চলা বিভিন্ন ধরনের শিখন কার্যক্রমের ভিত্তিতে। আর চতুর্থ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঁচটি বিষয়ে কিছু অংশের মূল্যায়ন হবে শিখনকালীন। বাকি অংশের মূল্যায়ন হবে সামষ্টিকভাবে, মানে পরীক্ষার ভিত্তিতে।

২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা হবে নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে
২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা হবে নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে মূল্যায়ন প্রক্রিয়াটি এ বছর থেকে চালু হচ্ছে। তবে এর নানান দিক বুঝে উঠতে একটু সময় লাগবে। শিক্ষক ও অভিভাবকদের অভ্যস্ত হতেও কিছুটা সময় লাগবে। তবে শিক্ষার্থীরা দ্রুত অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে এবং যাবে।

জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ সংশোধনের ইঙ্গিত দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন স্মার্ট শিক্ষার লক্ষ্যে রূপান্তরিত প্রক্রিয়ার আলোকে স্মার্ট শিক্ষানীতি প্রবর্তন ও সেটি কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সেই আলোচনা অবশ্যই আনা প্রয়োজন এবং আসছে। তিনি বলেন, তাঁরা শিক্ষার রূপান্তরের জন্য সবাই মিলে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন।

মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) শাহেদুল খবীর চৌধুরী প্রমুখ।

তিনদিনব্যাপী এই ফেস্টিভ্যালে বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্টল দিয়ে বিভিন্ন বিষয় প্রদর্শন করছে। অবশ্য ফেস্টিভ্যালটি খুব তাড়াহুড়ো করে আয়োজন করা হয়েছে অংশগ্রহণকারীদের কেউ কেউ জানিয়েছেন। ফলে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেননি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.