দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিন আজ শপথ নিচ্ছেন। আজ সোমবার বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে।
নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, সামরিক-বেসামরিক আমলারা যোগ দেবেন শপথ অনুষ্ঠানে।
এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধি ও বিশিষ্ট নাগরিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী রেবেকা সুলতানা, ছেলে আরশাদ আদনানসহ পরিবারের সদস্যরা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন, বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ গ্রহণের পরপরই রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাঁর উত্তরাধিকারী নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চেয়ার বদল করবেন।
এর মধ্য দিয়ে মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
মো. সাহাবুদ্দিনের জন্ম পাবনায় ১৯৪৯ সালে। তিনি ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
মো. সাহাবুদ্দিন ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর মো. সাহাবুদ্দিন কারাবরণ করেছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার পর্যায়ে আইন মন্ত্রণালয় নিযুক্ত ‘সমন্বয়কারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮২ সালে বিসিএসের মাধ্যমে বিচার বিভাগে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৯৫ সালে তিনি জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৭ বছর পর তিনি জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন।
২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মো. সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
দুদকে দায়িত্ব পালন শেষে ২০১৭ সালে তিনি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক নিযুক্ত হন। পরে তিনি ব্যাংকটির ভাইস চেয়ারম্যানও হয়েছিলেন।
এই দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যও ছিলেন তিনি।
এখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন গত ১৩ ফেব্রুয়ারি।