নতুন করে আঁকা হলো শেখ হাসিনার গ্রাফিতি, ‘ঘৃণা প্রদর্শনের’ ডাক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার

0
14
শেখ হাসিনার ঘৃনার গ্রাফিটি নতুন করে আকাঁ হলো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য–সংলগ্ন মেট্রোরেলের পিলারে আবারও আঁকা হয়েছে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রাফিতি। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে এই গ্রাফিতি আঁকা হয়। সেখানে আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) জুতা ও ঝাড়ু নিক্ষেপ কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা।

এর আগে, শেখ হাসিনার গ্রাফিতি সম্বলিত ‘ঘৃণাস্তম্ভ’ মুছে ফেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে ঢাবি শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চায় তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি দুঃখও প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় এই ইস্যুতে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের অনুমতিতে গভীর রাতে শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মুছে ফেলার চেষ্টার ঘটনাকে প্রক্টরিয়াল টিমের ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ হিসেবে উল্লেখ করে রোববার দুপুরে দুঃখ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আগের দিন শনিবার দিবাগত রাতে ঘৃণাস্তম্ভ মুছে ফেলার কাজ শুরু হয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে মাঝপথে মোছার কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। মধ্যরাতে আবারও আঁকা শুরু হয় শেখ হাসিনার গ্রাফিতি। রাতভর চেষ্টা করে ঘৃণাস্তম্ভকে পুরনো অবয়বে আনার চেষ্টা করেন চারুশিল্পীরা।

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার শাসনকালে মেট্রোরেলের রাজু ভাস্কর্য–সংলগ্ন দুই পিলারে শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রাফিতি আঁকে ছাত্রলীগ। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর জনতা তার গ্রাফিতিতে জুতা নিক্ষেপ, রক্তের প্রতীকস্বরূপ লাল রং, ইটপাটকেল ও ঝাড়ু মেরে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ফলে একসময়ের গ্রাফিতি জনতার ক্ষোভ ও ঘৃণার প্রতীকে রূপ নেয়। ফলশ্রুতিতে এটির নামকরণ হয় ‘ঘৃণাস্তম্ভ’।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.