নজর কাড়ছে উচ্চশিক্ষিত নারীর ১৪ গরু

0
16
সালমা খাতুন
মাস্টার্স পাস নারী সালমা খাতুন। বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার কলসি গ্রামে। নিজের পালিত ১৪টি গরু নিয়ে এসেছেন চট্টগ্রামের বিবিরহাটের কোরবানির বাজারে। নারী হয়েও গরু পালনে এগিয়ে আসার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বাজারে আগত দর্শনার্থী ও ক্রেতারা।
 
সালমা খাতুন পরম মমতায় গরুগুলোকে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন, আর দরদাম করছেন ক্রেতাদের সঙ্গে। শত শত পুরুষ বিক্রেতার মধ্যে তিনি একমাত্র নারী বিক্রেতা। বেশভূষা দেখে কোনো খামারি মনে না হওয়ায় প্রতিবেদকের কৌতূহল থেকেই কথা বলেন ওই নারীর সঙ্গে। সালমা খাতুন জানালেন তার সংগ্রামী জীবনের কথা।
 
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কলেজ থেকে অনার্স ও রাজশাহী থেকে মাস্টার্স শেষ করা সালমা খাতুন বলেন, ‌আমি চাকরি করতাম। করোনার সময় চাকরি ছেড়ে দিয়ে অনলাইনে আমের ব্যবসা করি। ২০১৯ সালে শখের বসে গরু পালন করি। এরপর ২০২২ সালে সোনালী ব্যাংক থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে বড় পরিসরে শুরু করি। কিন্তু ২০২৩ সালে লস হয়। এরপর ইউসিবি ব্যাংক চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখা থেকে ৫ লাখ টাকা লোন নিয়ে লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।
 
তিনি বলেন, ১৪ গরু নিয়ে চট্টগ্রামের এই বাজারে এসেছি। আমার এখানে এক লাখ ১২ হাজার থেকে পৌনে দুই লাখ টাকার গরু আছে। আমরা বাজারে গরু তুলেছি বৃহস্পতিবার। এখনও গরু বিক্রি হয়নি। তবে আশাকরি সব বিক্রি হয়ে যাবে। ২০২২ সালেও আমি এই বাজারে এসেছিলাম। তখনও সব বিক্রি করে গেছি।
 
দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে গরু নিয়ে আসা সালমা খাতুনের বিষয়ে বিবিরহাট বাজারের গরুর বেপারী ফাহিম আহম্মেদ বিজয় বলেন, একজন নারী হয়ে গরুর খামার করা সাহসী ব্যাপার। তিনি যে বাজারে গরু নিয়ে এসেছেন এটিও দেশে তেমন দেখা যায় না। নানা সংকটেও দেশের খাদ্য উৎপাদনে তিনি সরাসরি ভূমিকা রাখছেন। এভাবে সবার এগিয়ে আসা উচিত। তার সাহস আছে। একজন খামারি হিসেবে যেন সে ন্যায্য দাম পায় সেটি আশা করবো।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.