ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক সেবা নগদ–এর ব্যবস্থাপনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবি ব্যাংকের সাবেক এমডি কায়জার আহমেদ চৌধুরীকে চেয়ারম্যান করে ৭ সদস্যের নতুন পরিচালনা পর্ষদ বা বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ডাক বিভাগের মহাপরিচালক বরাবর ২৩ জুন এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্যবস্থাপনা পর্ষদের অন্য সদস্যরা হলেন—মালয়েশিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনারারি প্রফেসরিয়াল ফেলো নিয়াজ আসাদুল্লাহ, আগের পর্ষদে থাকা পিআরআইয়ের গবেষণা পরিচালক বজলুল হক খন্দকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন, ডাক বিভাগের মহাপরিচালক এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের ঋণ ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম–সচিব পদাধিকার বলে সদস্য হবেন।
আগের সরকারের সময়ে নগদ পরিচালনায় যুক্তরা গত ৫ আগস্টের পর পালিয়ে যায়। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক গত ২১ আগস্ট প্রশাসক নিয়োগ দেয় প্রতিষ্ঠানটিতে। আর সেপ্টেম্বরে বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদকে চেয়ারম্যান করে পাঁচ সদস্যের ব্যবস্থাপনা পর্ষদ গঠন করা হয়। এখন তা পুনর্গঠন করা হলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসক নিয়োগের বৈধতা নিয়ে আদালতে যায় একটি পক্ষ। বিভিন্ন পর্যায় শেষে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তের পক্ষে রায় দিয়েছেন আদালত।
জানা গেছে, ডাক বিভাগের অনুরোধে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যবস্থাপনা বোর্ড পুনর্গঠন করে দিয়েছে। ডাক বিভাগের মহাপরিচালককে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও কৌশলগত ব্যবস্থাপনা নির্ধারণের লক্ষ্যে এই ব্যবস্থাপনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হলো। পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইন ২০২৪–এর ক্ষমতা বলে এ পর্ষদ গঠন করা হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।