স্থানীয় বাসিন্দা ও মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার ফরিদা বেগম জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। উপসর্গগুলো সন্দেহজনক হওয়ায় ওই দিনই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে পরীক্ষা করে তাঁর শরীরে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। গত মঙ্গলবার একই ধরনের উপসর্গ নিয়ে ফরিদার শাশুড়ি রহিমা বেগম হাসপাতালে ভর্তি হন।
নিপাহ ভাইরাস ছড়ানোর পরও খেজুরের রসের ব্যাপারে সচেতনতা কম
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফরিদার স্বামী আবদুল খালেক বসতবাড়ির পাশের দুটি খেজুর গাছ থেকে শীতের শুরু থেকেই রস সংগ্রহ করেন। সেই রস তাঁরা পরিবারের লোকজন পান করতেন। সেখান থেকে তাঁর পরিবারের সদস্যরা নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন বলে স্থানীয়দের ধারণা।
নিপাহ ভাইরাস নামটি যেভাবে পেলাম
মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিজয় কুমার রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ফরিদা বেগম নামে এক নারীর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে রাতেই স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে একটি দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে আসা আইসিডিডিআরবির একটি দল এ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কাজ শুরু করেছেন। ওই এলাকায় আরও কোনো ব্যক্তি নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত কি না, তা শনাক্তের জন্য সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।