ধ্বংসস্তূপে জন্ম নেওয়া সেই নবজাতকের কেউ বেঁচে নেই

0
151
সিরিয়ার আলেপ্পো শহরের ধ্বংসস্তূপ থেকে নবজাতকটি উদ্ধার করা হয়। ছবি- ভিডিও থেকে নেওয়া

তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবনের নিচ থেকে ফুটফুটে এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে শিশুটির মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। এমনকি ওই নবজাতকের পরিবারের কোনো সদস্যকেই বাঁচানো যায়নি।

সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে এ ঘটনা ঘটেছে। সিরিয়ার আলেপ্পো অঞ্চলের জিনদায়ার্স শহরে একটি ধ্বংসস্তূপে গতকাল সোমবার ওই শিশুটি জন্ম নেয়।

আল-জাজিরার ফেসবুক পেজ থেকে নবজাতকটিকে উদ্ধারের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। সেখানে দেখা যায়, এক উদ্ধারকারী শিশুটিকে হাতে নিয়ে দৌড়াচ্ছেন। এ সময় নবজাতকটিকে ঢাকতে অপর এক উদ্ধারকারী তার দিকে একটি চাদর ছুঁড়ে দেন।

তবে শিশুটি বেঁচে রয়েছে কি না তা নিশ্চিত করতে পারেনি আল-জাজিরা। কিন্তু তার মাসহ পরিবারের আর কেউ বেঁচে নেই।

এদিকে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে রীতিমতো ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চল। ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ১০০ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এ ঘটনায় দুই দেশের আরও কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছে।

বিবিসি বলছে, তুরস্কে ৩ হাজার ৪১৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। ভূমিকম্পের পর থেকে এখন পর্যন্ত ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে সাত হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু তুষারপাত ও আফটার শকের ( শক্তিশালী কম্পন) কারণে উদ্ধার কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

এদিকে ভূমিকম্পে সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা এক হাজার ৬০০ ছাড়িয়েছে। দেশজুড়ে তিন হাজার ৪১১ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

ভূমিকম্পে উভয় দেশে পাঁচ হাজার ৭৭৫টি ভবন ধসে পড়েছে। এতে অনেকেই আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এখনও অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের নুরদাগি এলাকা থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ভূম্পিকম্পটি রাজধানী আঙ্কারা ও তুরস্কের অন্যান্য শহরেও অনুভূত হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট পুরো অঞ্চল জুড়েই কম্পন অনুভূত হয়েছে। গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১৭  দশমিক ৯ কিলোমিটার।

সংস্থাটি আরও জানায়, প্রথম ভূমিকম্পের পর আরও কয়েকবার শক্তিশালী কম্পন (আফটার শক) অনুভূত হয়। সবশেষ কম্পনটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭ মাত্রার।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.