পশ্চিমবঙ্গের পৌরসভাগুলোতে বড় ধরনের সব দুর্নীতির অভিযোগের ঘটনার তদন্ত করবে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই)। আজ বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য সরকার চাইছিল, দুর্নীতির অভিযোগ যেন সিবিআই তদন্ত না করে। কিন্তু রাজ্য সরকারের সেই আবেদন আজ খারিজ করে দেন আদালত। এ আদেশের ফলে পৌর দুর্নীতি মামলায় বড় এক ধাক্কা খেল পশ্চিমবঙ্গের মমতার সরকার।
পশ্চিমবঙ্গের পৌরসভাগুলোতে কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ এই দুর্নীতি তদন্তের জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশে অসন্তুষ্ট হয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আপিল করেছিল সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট কার্যত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে আমলে এনে মামলাটি ফিরিয়ে দেন কলকাতা হাইকোর্টে। পরে এই মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চে।
অমৃতা সিনহা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে মেনে নিলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার পুনরায় এই মামলার বিচারের জন্য হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের শরণাপন্ন হয়। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এই মামলা পাঠিয়ে দেন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থ সারথী চট্টোপাধ্যায়ের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চে। চার দিন এই মামলার শুনানি শেষে আজ ডিভিশন বেঞ্চ এক আদেশে রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে দেন।
রাজ্যের ৬০টি পৌরসভায় নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই। অভিযোগ রয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে ওই সব পৌরসভার পাঁচ হাজার চাকরি অর্থের বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে। আর এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তৃণমূল নেতা অয়ন শীল। তিনিই পৌরসভার চাকরি অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করেছেন।
এই অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অয়ন শীলকে গ্রেপ্তার করে। অয়নের হুগলির চুচুঁড়ার অফিস তল্লাসি করে ইডি নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীদের খাতা উদ্ধার করে। ইডি তল্লাসিতে জানতে পারে, এই নিয়োগ–দুর্নীতিতে জড়িয়ে অয়ন শীল চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে ৪০ কোটি রুপি অবৈধভাবে আদায় করেন।