ধর্ষণ মামলায় চবি ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সংস্কৃত বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থী ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী মারুফুল ইসলাম শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (৩ নভেম্বর) হাটহাজারী থানা-পুলিশ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে।
মারুফুল ইসলাম শাকিল ২০১৬-১৭ সেশনে অধ্যয়নরত। তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কর্মী এবং উপগ্রুপ বাংলার মুখের সক্রিয় সদস্য।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, মারুফুল ইসলাম শাকিলের সঙ্গে ভুক্তভোগীর পাঁচ বছরের সম্পর্ক ছিল। শাকিল ছাত্রলীগ করতেন এবং পলিটিক্যাল ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগীকে সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করতেন। এ ছাড়া বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বারবার জোরপূর্বক ধর্ষণ, আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও করেছেন।
মারুফুল অন্য মেয়েদের সঙ্গেও দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক বজায় রেখে, তাদের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। বর্তমানে মারুফুল ভুক্তভোগীকে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে হেনস্তার হুমকি দিচ্ছে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মারুফুল ইসলাম শাকিল বলেন, তার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। সে বেশকিছু সমস্যার মধ্যে ছিল। আমি তাকে সাহায্য করেছি। সে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো করেছে, তার কোনো সত্যতা নেই। সে আমাকে ফাঁসিয়ে দিচ্ছে।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, ওই ছাত্রী অভিযোগের প্রমাণ আমাদের কাছে দিয়েছে। বিষয়টি হাটহাজারী থানার ওসিকেও জানিয়েছিল। তার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ছেলেটিকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্রীর করা মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা রুজু করা হয়েছে। নিয়মানুযায়ী সোমবার অভিযুক্তকে আদালতে পাঠানো হবে।