ময়মনসিংহের ভালুকায় চলন্ত বাসে চালক ও চালকের সহকারীরা এক নারী পোশাকশ্রমিককে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এতে ব্যর্থ হয়ে বাস থেকে ফেলে দিলে মাথায় গুরুতর আঘাত পান। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ রোববার বেলা ১০টা ৫৪ মিনিটে তিনি আইসিইউতে মারা যান।
ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ইতোমধ্যে ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই নারীর বাড়ি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায়। তিনি ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় বসবাস করতেন। সেখান থেকে শ্রীপুরে পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
গত শুক্রবার রাত ১০টায় ময়মনসিংহের ভালুকার মাস্টারবাড়ি এলাকায় ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে পোশাক কারখানায় কাজ শেষে হাইওয়ে মিনিবাসে বাসায় ফিরছিলেন ওই নারী। মাস্টারবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে বাসের অন্য যাত্রীরা নেমে যান। এ সময় তাকে একা পেয়ে চলন্ত বাসে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় চালক ও দুই সহকারী। ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে চালক ও দুই সহকারী প্রথমে তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শনিবার সকাল আটটায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে শুক্রবার রাতেই ওই নারীর এক ভাই বাদী হয়ে ভালুকা থানায় মামলা করেন। হত্যাচেষ্টা মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার পরপরই হাইওয়ে থেকে মিনি বাসটি আটক করে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। রাতেই পুলিশ চালকের দুই সহকারীকে ভালুকা ও চালককে ত্রিশাল থেকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি উপজেলার মুশুর্দ্দি কুমারপাড়ার গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে বাসচালক রাকিব (২১), ত্রিশাল উপজেলার রায়মনি গ্রামের আরফান আলীর ছেলে বাসের সহকারী আরিফ (২০) ও ত্রিশালের কাশিগঞ্জ গ্রামের শ্রী রবিদাসের ছেলে বাসের সুপারভাইজার আনন্দ দাস (১৯)। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।