ধর্মঘট: খুলনায় ৩ ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ

0
120
খুলনায় ৩ ডিপোতে ধর্মঘট

জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধিসহ তিন দাবিতে রোববার ভোর থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছেন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা। এর অংশ হিসেবে খুলনা নগরীর খালিশপুরে অবস্থিত পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়েছে।  সেই সঙ্গে খুলনা থেকে জ্বালানি তেল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না ১৫ জেলায়। তবে পেট্রোল পাম্পগুলো যথারীতি খোলা রয়েছে।

জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় সভাপতি আব্দুল গফফার বিশ্বাস বলেন, ৩১ আগস্টের মধ্যে ৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য তারা সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। এ অবস্থায় রোববার ভোর থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু হয়েছে।

তিনি জানান, তাদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে‒ জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরির জীবনকাল ৫০ বছর করা, জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর প্রচলিত কমিশন বৃদ্ধি করে কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা এবং জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট বিধায় প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করা।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পদ্মা মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতি যৌথভাবে এই ধর্মঘট করছে।

জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন বলেন, গত ৪ বছর ধরে একই এবং যৌক্তিক দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। কর্তৃপক্ষ কয়েকবার আমাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, প্রতিবারই সময় নিয়েছেন, কিন্তু দাবি বাস্তবায়ন করেননি। ফলে বাধ্য হয়ে আমাদের তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধের কর্মসূচি পালন করতে হচ্ছে।

তবে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা জানান, জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ থাকলেও পেট্রোল পাম্পগুলো যথারীতি খোলা রয়েছে। পেট্রোল পাম্পগুলোতে সাধারণত ২ থেকে ৪ দিনের জ্বালানি তেল মজুদ থাকে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.