সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে দ্বিতীয় ‘ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্ট্রিয়াল ফোরাম’–এ যোগ দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল শনিবার স্টকহোমে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী এ সম্মেলনে হাছান মাহমুদ বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
পাশাপাশি তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাদজা লাহাবিব, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লর্ড আহমদ, পর্তুগালের সেক্রেটারি অব স্টেট ফ্রান্সিসকো আন্দ্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়তার আশ্বাস
যুক্তরাজ্যের মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা ও জাতিসংঘ–বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী লর্ড আহমদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে হাছান মাহমুদ ঢাকা-লন্ডনের মধ্যকার বহুমুখী সম্পর্কের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনায় যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী আশ্বাস দেন, তাঁর দেশ রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন দেওয়া অব্যাহত রাখবে। দেশটি রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে টেকসই প্রত্যাবর্তন নিশ্চিতে সক্রিয় থাকবে।
বৈঠকে হাছান মাহমুদ ও লর্ড আহমদ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহযোগিতাসহ বাণিজ্য-বিনিয়োগ নিয়ে বিশেষ আলোকপাত করেন।
রাজা তৃতীয় চার্লস ও কুইন কনসোর্ট ক্যামিলার ঐতিহাসিক অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ জানান যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাদজা লাহাবিবের সঙ্গে হাছান মাহমুদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা হয়। বেলজিয়ামের মন্ত্রী এ বিষয়ে আন্তরিক সহায়তার মনোভাবের কথা জানান। বৈঠকে দুই মন্ত্রী উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
ঢাকায় কনস্যুলার মিশন খুলতে পারে পর্তুগাল
পর্তুগালের সেক্রেটারি অব স্টেট ফ্রান্সিসকো আন্দ্রে বৈঠকে হাছান মাহমুদকে জানান, তাঁর দেশের সরকার আগামী বছরের মধ্যে ঢাকায় একটি কনস্যুলার মিশন খোলার প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে। এতে বাংলাদেশিদের পর্তুগাল ভ্রমণ সহজ হবে। তথ্যমন্ত্রী এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
ফ্রান্সিসকো আন্দ্রে পর্তুগালে বাংলাদেশিদের উদ্যোক্তা হিসেবে নানা কর্মকাণ্ডসহ পরিশ্রমী মনোভাবের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, পর্তুগিজ সমাজের সঙ্গে মিলেমিশে তাঁরা (বাংলাদেশিরা) অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখছেন।