ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে গণনা।
মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় এ ভোটগ্রহণ। চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই সম্পন্ন হয়েছে ভোটগ্রহণ। সকালের দিকে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে।
তবে সারাদেশে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল অনেক কম। এ নির্বাচনে ১৫৬টি উপজেলায় ১৩ হাজার ১৫৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০ হাজার কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে। দুপুর ১টায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম এ তথ্য জানান।
ইসি সচিব বলেন, সারাদেশে চলমান দ্বিতীয় ধাপের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। ভোটকেন্দ্রের বাইরে ছোটখাটো দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। যার সংখ্যা মাত্র ১৮টি। এ ছাড়া বিচ্ছিন্নভাবে দুটি ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, রাজবাড়ীতে একজন ভোটার ভোটকেন্দ্রে লাইনে দাঁড়ানো থাকা অবস্থায় সম্ভবত স্ট্রোক করেছেন। ৫৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। আর রাজশাহীতেও একজন আনসার ভিডিপি কর্মী স্ট্রোক করে মারা গেছেন। এসব মৃত্যুর সঙ্গে নির্বাচনী সহিংসতার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই।
ইসি জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে এক হাজার ৮২৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৬৯৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫২৮ জন। এ নির্বাচনে ভোটার রয়েছেন ৩ কোটি ৫২ লাখ। ভোটারদের মধ্যে এক কোটি ৭৯ লাখ ৫ হাজার পুরুষ এবং এক কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার নারী ভোটার। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৩ হাজার ১৬টি ও ভোটকক্ষ ৯১ হাজার ৫৮৯টি।
এই ধাপে ২৪টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবং বাকি উপজেলাগুলোতে কাগজের ব্যালটে ভোট হয়।