বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, স্তন ক্যানসারে প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ৭ হাজার নারীর মৃত্যু হয়। সেই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ১৯ জন মারা যাচ্ছেন। তবে প্রাথমিক পর্যায়ের শনাক্ত করতে পারলে এ রোগে সুস্থতার হার ৯০ শতাংশ। এই মৃত্যুহার কমাতে তাই সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে স্তন ক্যানসার জয়ী নারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। স্তন ক্যানসার সচেতনতা মাস উপলক্ষে এ আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটি ও মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর অক্টোবর মাসকে ‘স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস’ হিসেবে পালন করা হয়। মাসটি পিংক অক্টোবর হিসেবেও পরিচিত। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘স্তন ক্যানসারবিষয়ক সচেতনতা তৈরি ও প্রতিকার নিশ্চিত করা।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটির সভাপতি ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, দেশে প্রতি বছর ২২ থেকে ২৫ হাজার নারী নতুন করে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। এটি প্রতিরোধে রোগী, পরিবার, চিকিৎসক ও রাষ্ট্রকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আক্রান্তরা যেন সবার থেকে সহনশীলতা পান তা নিশ্চিত করতে হবে।
সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক কাজী মুশতাক হোসেন বলেন, শুরুতে রোগটি শনাক্ত হলে ৯৫ থেকে একশ’ ভাগ সুস্থ হয়। কিন্তু অধিকাংশ রোগী চিকিৎসকের কাছে যান ক্যানসারের স্টেজ ৩ ও ৪ অবস্থায়। এজন্য ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিকভাবে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
অনুষ্ঠানে স্তন ক্যানসার থেকে সুস্থ হওয়া নারীরা তাদের অদম্য মনোবল ও আত্মবিশ্বাসের গল্প তুলে ধরেন। পাশাপাশি যারা রোগটির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন তাদের ধৈর্য নিয়ে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করেন।
মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ডিরেক্টর ব্যারিস্টার তাসনিম মোস্তফা বলেন, এমজিআইয়ের ফ্রেশ টিস্যু কয়েক বছর ধরে স্তন ক্যানসার সচেতনতা ও শনাক্তকরণে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে স্তন ক্যানসার জয়ী নারী ও তাদের সহায়তাকারীদের বিশেষ সংবর্ধনা দিচ্ছে ফ্রেশ টিস্যু এবং ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন। এই আয়োজনে সহযোগী হিসেবে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটি হসপিটাল অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার হোমের পরিচালক অধ্যাপক এমএ হাই, এমজিআইর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও হেড অব এক্সপোর্ট সামিরা রহমান, সিনিয়র জিএম (ব্র্যান্ড) কাজী মো. মহিউদ্দিন, জিএম (সেলস) ইয়াছিন মোল্লাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ক্যানসার জয়ী নারীদের স্বজন অংশ নেন।