আমদানির অনুমতি দেওয়ার দেড় মাস পর ডিমের প্রথম চালান দেশে এলো। ভারত থেকে আমদানি করা ডিমের চালানটি নিয়ে একটি ট্রাক সন্ধ্যা ৫টা ২৬ মিনিটে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করে। প্রথম চালানে ৬১ হাজার ৯৫০ পিস ডিম আমদানি করেছে ঢাকার বিডিএস করপোরেশন।
দেশে দফায় দফায় দাম বেড়ে রেকর্ড ১৭০ টাকায় পৌঁছে ডিমের ডজন। বাজারে সরকারের তদারক ব্যবস্থা জোরদার করার পরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি বাজার। এমন পরিস্থিতিতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর আরও দুই দফায় ছয় কোটি করে ১২ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তিন দফায় মোট ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিলেও আমদানি করেছে মাত্র একটি প্রতিষ্ঠান। আমদানির পরিমাণও খুবই কম।
এদিকে ডিমের আমদানি শুরু হলেও বাজারে এখনও দাম চড়া আমিষজাতীয় খাদ্যপণ্যটির। গতকাল রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি ডজন ডিম ১৫০ টাকার আশপাশে বিক্রি হতে দেখা গেছে। ডিম ব্যবসায়ীরা জানান, আমদানির ডিম বাজারে খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারবে না। তবে যেহেতু বর্ষা মৌসুম শেষ হয়ে গেছে, তাই এমনিতেই দাম কমে আসবে। কারওয়ান বাজারের ডিম ব্যবসায়ী মো. রিপন বলেন, বৃষ্টি-বাদল শেষ, শীত চলে এসেছে। এখন বাজারে নতুন সবজি আসবে। ফলে ডিমের চাহিদা কমবে। এতে দামও কমে যাবে।
জানা যায়, বেনাপোল দিয়ে আসা প্রতিটি ডিমের আমদানি মূল্য দেখানো হয়েছে পাঁচ টাকার কিছু বেশি। এর ওপর প্রতি পিস ডিমে সরকারি শুল্ক ১ টাকা ৮০ পয়সা। এলসি খরচ, পোর্ট চার্জ, সিঅ্যান্ডএফ চার্জ, পরিবহন খরচ ধরলে ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকার মধ্যে থাকবে। এসব ডিম বাজারে বিক্রি হবে ১২ টাকা পিস হিসেবে।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা কলিমুল্লাহ বলেন, এই প্রথম ভারত থেকে ডিমের চালান বেনাপোল বন্দরে এসেছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বিডিএস করপোরেশন ২ হাজার ৯৮৮ ডলারে ২৯৫ প্যাকেজ ডিম আমদানি করেছে। যেখানে রয়েছে ৬১ হাজার ৯৫০ পিস ডিম। পণ্য চালানটি ছাড় করার জন্য এমি এন্টারপ্রাইজ বেনাপোল কাস্টমসে কাগজপত্র দাখিল করেছে।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এমি এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি সঞ্জয় বলেন, পণ্য চালানটি বন্দর থেকে খালাস নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম বলেন, সতর্কতার সঙ্গে ডিমগুলো দ্রুত খালাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।