মেসির উপহার ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকায় শিশুদের জন্য বিক্রি করলেন নেইমার

0
115
নাসের আল খেলাইফির দেওয়া উপহার হাতে লিওনেল মেসি ও সের্হিও রামোস, ছবি: পিএসজি

লিওনেল মেসি ও নেইমারের বন্ধুত্বের গল্প সবারই জানা। বার্সেলোনায় থাকতে দুজনের বন্ধুত্বের সূত্রপাত। পিএসজিতে তা আরও গাঢ় হয়।

সেই বন্ধুত্বের সুবাদেই মেসি পিএসজি ছাড়ার আগে নেইমারকে একটি উপহার দিয়ে এসেছিলেন। সে বস্তুটি আবার মেসি নিজেই উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন পিএসজি সভাপতির নাসের আল খেলাইফির কাছ থেকে। তবে নেইমার কিন্তু মেসির দেওয়ার উপহার যত্ন করে তুলে রাখেননি। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাহায্য করতে মেসির দেওয়া সেই উপহার কাজে লাগিয়েছেন পিএসজি ফরোয়ার্ড নেইমার।

ঘটনাটা জানিয়েছে ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যম ‘লা পারিসিয়ান।’ ফ্রেঞ্চ লিগ আঁ–র গত মৌসুমে ক্লেরমঁর বিপক্ষে ৩ জুন পিএসজির হয়ে শেষ ম্যাচটি খেলেন মেসি।

পিএসজি সভাপতি নাসের আল খেলাইফির সঙ্গে লিওনেল মেসি
পিএসজি সভাপতি নাসের আল খেলাইফির সঙ্গে লিওনেল মেসি, ছবি: পিএসজি

এই ম্যাচের আগে ক্লাবটির সভাপতি নাসের আল খেলাইফি মেসি ও সের্হিও রামোসকে স্মারক উপহার দেন। মেসি পিএসজিতে ৩০ নম্বর জার্সি পরে খেলেছেন—এই জার্সি নম্বরকে সোনালি রঙে ভাস্কর্য বানিয়ে মেসির হাতে তুলে দেন ফরাসি ক্লাবটির সভাপতি। রামোসও একই রকম উপহার পান নাসের আল খেলাইফির কাছ থেকে। পিএসজি ছাড়ার আগে ক্লাবটিতে ৪ নম্বর জার্সি পরে খেলেছেন।

কিন্তু মেসি পিএসজি সভাপতির সে উপহার নিজের কাছে রাখেননি। বন্ধু ও তখনকার ক্লাব সতীর্থ নেইমারের হাতে উপহারটি তুলে দিয়েছিলেন। ব্রাজিলিয়ান তারকা সেটি দারুণভাবেই কাজে লাগিয়েছেন। ব্রাজিলে নেইমারের নিজের নামে ফাউন্ডেশন আছে। সেই ফাউন্ডেশন থেকে বিভিন্ন দাতব্য কাজ করেন নেইমার। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাহায্য করেন। মেসির দেওয়া সেই উপহার এ জন্যই নিলামে তুলেছিলেন নেইমার।

বেশ ভালো দামেই ভাস্কর্যটি বিক্রি হয়। ১ লাখ ৫৮ হাজার ইউরোয় (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা) এই ভাস্কর্য কিনে নেন ব্রাজিলের সংবাদকর্মী, ইউটিউবার ও স্ট্রিমার কাসিমিরো। নেইমারের কাছ থেকে এই ভাস্কর্য কেনার সুবিধাও পাচ্ছেন কাসিমিরো।

একটি বিলাসবহুল বাড়িতে দুই রাত বিনা পয়সায় থাকার পাশাপাশি ব্রাজিলের অভিনেত্রী ডেবোরা সেক্কোর সঙ্গে নৈশভোজের সুযোগও পাবেন কাসিমিরো।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.