দেশের ১৬৫ উপজেলায় স্কুল ফিডিং কার্যক্রম শুরু

0
16
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ছবি: সংগৃহীত

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেছেন, দেশের ১৬৫ উপজেলায় সোমবার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

মহাপরিচালক বলেন, বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখা এবং পুষ্টি উন্নয়নে সারা দেশের নির্বাচিত ১৬৫ উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে ‘স্কুল ফিডিং’ কার্যক্রম আজ (১৭ নভেম্বর) থেকে পূর্ণাঙ্গভাবে শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি ২০২৭ সাল পর্যন্ত প্রকল্প মেয়াদকালে দেশের নির্বাচিত ১৫০টি উপজেলার ১৯ হাজার ৪১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩১ লাখ ১৩ হাজার শিক্ষার্থীকে সপ্তাহে পাঁচ কর্ম দিবসে ফর্টিফাইড বিস্কুট, কলা বা মৌসুমী ফল, বনরুটি, ডিম এবং ইউএইচটি দুধ তথা পুষ্টিকর খাবার প্রদান করা হবে।

এর মধ্যে রোববারে ১২০ গ্রাম ওজনের বনরুটি এবং সিদ্ধ ডিম, সোমবারে বনরুটি ও ২০০ গ্রাম ইউএইচটি দুধ, মঙ্গলবারে ৭৫ গ্রাম ওজনের ফর্টিফাইড বিস্কুট এবং কলা বা স্থানীয় মৌসুমী ফল, বুধবার এবং বৃহস্পতিবারে বনরুটি ও সিদ্ধ ডিম প্রদান করা হবে

শামসুজ্জামান বলেন, প্রস্তাবিত খাদ্য তালিকায় মোট এনার্জির ২৫ দশমিক ৯ শতাংশ, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ৩২ দশমিক ২ শতাংশ, প্রোটিনের ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ফ্যাটের ২১ দশমিক ৭ শতাংশ সরবরাহ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, স্কুল ফিডিং কার্যক্রমের ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা স্কুলমুখী হবে এবং লেখাপড়ায় মনোযোগী হবে। গুণগতমানের শিক্ষা এবং সুষম ও পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি সহ-শিক্ষা অর্থাৎ খেলাধুলা, সংগীত, বিতর্ক, বক্তৃতা আয়োজনের মাধ্যমে শিশুর মানসিক ও চারিত্রিক বিকাশ ঘটে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এই মহাপরিচালক বলেন, নিয়মিত স্কুলে গেলে শিক্ষার্থীরা শৃঙ্খলার মধ্যে আসে, তাদের নৈতিক বিকাশ ঘটে এবং সামাজিকতায় অভ্যস্ত হয়ে ওঠে।

স্কুল ফিডিংয়ের কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে ছোট-ছোট শিশুদের মেধাবিকাশে সহায়তা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.